এ সময়ে সারা বাংলা, দেশও বিচার চাইছে। জঘন্য ধর্ষণ-হত্যার দোষীরা অধরা এখনও। আর এই সময়েই কিসের বিনোদন? তা-ও আবার সরকারি পয়সায়, জনতার করের অর্থে?
শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহরে বামফ্রন্টের মিছিল থেকে উঠল এই প্রশ্ন। শহরের সরজেন্দ্র দেব কলা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আনন্দ অনুষ্ঠান। রাস্তা আটকে সেই অনুষ্ঠান বাতিল করার দাবি উঠল।
শুক্রবারও রাজ্যের জায়গায় জায়গায় চলছে বিক্ষোভ। কোথাও মিছিল। কোথাও অবরোধ। কোথাও হয়েছে বিচারের দাবিতে মৌন প্রতিবাদ। বামফ্রন্টের ডাকে জেলায় জেলায় চলেছে বিক্ষোভ।
আবার শহর দার্জিলিঙের প্রাণকেন্দ্র মলে, নীরবে নাগরিকরা মোমবাতি জ্বেলে স্মরণ করেছেন নির্যাতিতা চিকিৎসক ছাত্রীকে। প্রশ্ন সর্বত্র এক, তার অভিমুখও এক। আসল দোষীদের আড়াল করছে কেন প্রশাসন। কেন তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কেন নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কয়েক বছর ধরে ১৬ আগস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস পালন শুরু করেছে তৃণমূল সরকার। এত ক্ষোভ, এত শোকের মধ্যেও এবার তা বাতিল হয়নি। অথচ এবারই স্বাধীনতার দিনও শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করেননি নাগরিকরা। বস্তুত স্বাধীনতার দিনের মেজাজও ছিল না। ছিল আর জি করের ঘটনায় ক্ষোভ, যন্ত্রণা।
বামফ্রন্টের মিছিলে ক্ষোভ, সম্পূর্ণ মিথ্যা জেনেও বুধবার রাতে আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-কে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ ৯ আগস্ট, যেদিন মিলেছিল চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ, সেদিন থেকে ডিওয়াইএফআই, এসএফআই এবং সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি রয়েছে প্রতিবাদী চিকিৎসক-পড়ুয়াদের পাশে।
জলপাইগুড়িতে পথ অবরোধে নেতৃত্ব দেন সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য পীযূষ মিশ্র। ছিলেন নেতৃবৃন্দ। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগের দাবিতে গণ অবস্থান হয় বরানগরে বামফ্রন্টের ডাকে। গণ কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন বরাহনগর বামফ্রন্টের নেতা অশোক ভট্টাচার্য। বক্তব্য রাখেন কিশোর গাঙ্গুলি প্রমুখ।
বরাহনগরে গণকনভেনশনে বিচারের দাবি।
Comments :0