গত শুক্রবার বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সদস্য এবং কয়েক জন শিক্ষিকার হাতে নিগ্রহের শিকার হন তিনি। ঘটনাস্থলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শারিরীক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে স্ক্যান করা হলে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ধরা পরে। সোমবার পর্যন্ত ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
শনিবার গণশক্তি ডিজিটালের পক্ষ থেকে রীতা সরকারের স্বামী খিদিরপুর অ্যাকাডেমির শিক্ষক কল্যাণ কুমার ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হলে মানাসিক চাপের কারনে তিনি কিছু বলেননি। সোমবার তিনি নিজেই যোগাযোগ করে রীতা সরকারের বাড়ি ফেরার খবর জানান। এছাড়া শুক্রবারের ঘটনার বিষয়েও তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবারের ঘটনাটা হচ্ছে ক্লাইমেক্স। দীর্ঘদিন ধরেই নানা ভাবে আমার স্ত্রীর ওপর মানসিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিচালন সমিতির একাধিক আর্থিক দুর্নীতি সে ধরে ফেলে। সেকান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তাছাড়া নিয়ম মেনে স্কুল পরিচালনা করার কারণে বহু শিক্ষিকার চক্ষুশূল হয়ে উঠতে হয়।’’ তাঁর কথায় শুক্রবার পরিচালন সমিতির সদস্যদের মদতেই কয়েকজন শিক্ষিকা ঘরে ঢুকে চিকিৎকার করতে থাকে। কল্যাণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘‘শুক্রবার প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে অভিযুক্তরা চাপ দিতে থাকে স্কুল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমার স্ত্রী তা মানেনি। সে জানিয়ে দেব যে তাঁর কাজ সে চালিয়ে যাবে। তখনই তাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ, শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার,ভয় দেখানো, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ইত্যাদি দেওয়া হয়।’’
তিনি জানিয়েছেন বর্তমানে শিক্ষিকার শারিরীক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
Comments :0