Trawler Accident

ট্রলার দুর্ঘটনায় ৮ মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ এক

রাজ্য জেলা

রবিবার কাকদ্বীপ হাসপাতালে মৃত মৎস্যজীবীর পরিবার।

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের মধ্যে ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন নিরঞ্জন দাস নামে এক মৎস্যজীবী। আশঙ্কাই সত্যি হলো। ডুবে যাওয়া ট্রলারের কেবিনের ভিতর থেকেই মিললো পরপর ৮ জনের নিথর দেহ। রবিবার সকাল থেকেই ট্রলারটি উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। জোয়ারের জল কমতেই  মাঝ সমুদ্রে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে টেনে আনা হয় লুথিয়ান দ্বীপে। সেখানেই কেবিনের ভিতর থেকে বের করা হয়েছে একের পর এক মৎস্যজীবীর দেহ। এদিন দুপুরে লুথিয়ান দ্বীপ থেকে মৃতদেহগুলি স্পিডবোট ও নৌকায় নিয়ে আসা হয় নামখানার হরিপুর ঘাটে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তর জন্য পাঠানো হয় কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে মৃতদের পরিবার পরিজনেরা দেহগুলি সনাক্ত করেন। 
সামুদ্রিক ঝড়ে শুক্রবার মাঝরাতে ‘এফ বি বাবা গোবিন্দ’ নামে ট্রলারটি উত্তাল সমুদ্রে উল্টে যায়। মাঝিসহ মোট ১৭ জন মৎস্যজীবী ওই ট্রলারটিতে ছিলেন। বিপদ বুঝে ট্রলারের পাটাতনে থাকা ৮জন মৎস্যজীবী উত্তাল সমুদ্রের জলে ঝাঁপ দিয়ে ভেসে ছিলেন। প্রায় ৪ ঘন্টা তাঁরা বঙ্গোপসাগরের জলের স্রোতের সঙ্গে লড়াই করেন। ভোরের আলো ফুটতে সমুদ্রে মাছ ধরতে থাকা অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীরা ওই ৮ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই ট্রলারের ৯ জন মৎস্যজীবী। সুন্দরবনের বাঘের চর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার গভীরে সমুদ্রে ট্রলার দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিন সন্ধ্যায় কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ৮ জনের মৃতদেহ সনাক্ত করার কাজ চলছে। নিখোঁজ একজন মৎস্যজীবীর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সনাক্তকরণের পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের শেষে রাতেই তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। মৃত মৎস্যজীবীদের সকলেরই বাড়ি কাকদ্বীপ ব্লকে। 
গভীরসমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার দুর্ঘটনায় মৃত মৎস্যজীবীদের অসহায় পরিবারকে সরকারি আর্থিক সহায়তার দাবি তুলেছেন কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীরাও। 

Comments :0

Login to leave a comment