Bardhaman Murder

এবার খুন ছাত্রীকে,নেই গ্রেপ্তারি, ক্ষোভে ফুটছে বর্ধমান

রাজ্য জেলা

শুক্রবার বিকেলে বর্ধমান শহরে বিক্ষোভ মিছিল বামফ্রন্টের ডাকে। ছবি: শঙ্কর ঘোষাল

পরপর দুই কন্যাকে মারাত্মক নির্যাতন মাত্র সাতদিনেরও কম সময়ের ব্যবধানে। দেওয়ানদিঘিতে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছিল এক ছাত্রীকে। আর শক্তিগড় থানা এলাকায় খুন করা হয়েছে আরেক ছাত্রীকে। বুধবার রাতে দেহ পাওয়ার পর শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি কাউকে। বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিক্ষোভ।
শক্তিগড়ে খুন করা হয়েছে আদিবাসী ছাত্রীকে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দূরশিক্ষা বিভাগে স্নাতকোত্তরের পাঠরত ছিলেন তিনি। বুধবার, সারা বাংলায়, মেয়েদের রাস্তা দখল অভিযান চলছিল। ওই রাতেই মিলেছে ছাত্রীর দেহ। গলার নলি কাটা অবস্থায় রক্তাক্ত দেহ মেলে তাঁর গ্রামেই। 
পুলিশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বৃহস্পতিবার রাত বারোটার আগে খুনীদের ধরবে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্তও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এদিনও শক্তিগড় থানার সামনে হয়েছে তুমুল বিক্ষোভ। বর্ধমানে পরপর দুই ছাত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মিছিল হয়েছে বর্ধমান শহরেও। এদিন ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান আদিবাসী অধিকার মঞ্চের সংগঠকরা। কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার আদিবাসীদের বিভিন্ন অংশ বিক্ষোভ দেখায় বর্ধমান থানায়। 
এর আগে জেলার দেওয়ানদিঘিতে মির্জাপুরে আরেক ছাত্রীকে তার বন্ধুর সামনে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। বন্ধুর থেকে টাকাও চাওয়া হয়। প্রতিবাদের জেরে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু এই দেওয়ানদিঘিতে নির্যাতনের শিকার একাধিক মহিলা বিচার পাননি। দোষীদের শাস্তি হয়নি। কেবল বর্ধমানেই এক বছরে প্রায় পঞ্চাশের বেশি মহিলাকে ধর্ষণ অথবা খুনের ঘটনা মনে করাচ্ছে নাগরিক আন্দোলনের বিভিন্ন অংশ। 
শক্তিগড়ে আদিবাসী ছাত্রীকে বুধবার রাত ৭.২০ মিনিট নাগাদ খুন করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। পরের দিনই থানায় বিক্ষোভ হওয়ায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু বারবারই দেখা গিয়েছে গ্রেপ্তারিতে দেরি, বিক্ষোভের মুখে গ্রেপ্তার করলেও শাস্তি হয়নি। 
শুক্রবার বর্ধমান শহরে আছড়ে পড়েছে নাগরিকদের ক্ষোভ। বামফ্রন্টের ডাকে এই মিছিলে যোগ দেন সব স্তরের নাগরিকরা। বিক্ষোভে জুড়ে গিয়েছে আর জি করে নির্মম হত্যা-ধর্ষণে বিচারের দাবিও। বিভিন্ন জনই বলছেন, প্রশাসনের মাথা বসে দোষীদের আড়াল করা হচ্ছে বারবার। আর জি করে প্রমাণ লোপাটের জঘন্য প্রয়াস সকলের চোখের সামনে। সব স্তরে দুষ্কৃতীরা সাহস পেয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের সরকারকে নিজেদের মনে করছে দুষ্কৃতীরা।

Comments :0

Login to leave a comment