Bangla Bachao Nabadwip

শামিল বন্ধ চিনি কলের শ্রমিক, উচ্ছেদের মুখে থাকা বস্তিবাসীরাও

রাজ্য জেলা বাংলা বাঁচাও যাত্রা

নবদ্বীপে বাংলা বাঁচাও যাত্রা। মঞ্চে মীনাক্ষী মুখার্জি সহ নেতৃবৃন্দ। ছবি ও ভিডিও: প্রিতম ঘোষ

পূজা বোস

শীতের দুপুর শেষে বিকেলে হবে হবে তখন। শীতের সূর্যের তেজ তখন নিষ্প্রভ। তবু লাল আভা তখনও সতেজ। আকাশেও লাল আভা আর পলাশীর রেল স্টেশনের সামনের রাস্তাটায় তখন লাল পতাকা হাতে মানুষের ভিড়। 
‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’ তখন পলাশীতে প্রবেশ করেছে। রেল স্টেশনের সামনের রাস্তাটায় চলছে সমাবেশ। তখনই ধরা পড়লো এমন চিত্র। লাল পতাকা হাতে নিয়ে যাঁরা ওই 
সমাবেশ শামিল হয়েছিলেন তারা একেবারেই খেটে খাওয়া। কেউ পলাশী সুগার মিলের শ্রমিক আবার কেউ পলাশীর রেল বস্তির বাসিন্দা। 
এক-আধজন নয়, সংখ্যা এতই যে সমবেশ মঞ্চের সামনের জায়গা ছাড়িয়ে তা রেল স্টেশনে ঢোকার সামনের রাস্তাটাও ভরিয়ে দিয়েছে। ওঁদের বাসস্থানের নিশ্চয়তা নেই , নেই কাজের নিশ্চয়তাও। তৃণমূলের আমলে বন্ধ হয়েছে মিল। এখন তাই পেট চালাতে কেউ করেন অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীর কাজ। আবার কেউ হয়েছেন পরিয়ায়ী শ্রমিক। 
পলাশীর বন্ধ হয়ে যাওয়া সুগার মিলের এক কর্মী বললেন, প্রায় ৪০০০ জন আমরা কাজ করতাম। মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই ওড়িশায় কাজ করতে চলে গেছে। পেট তো চালাতে হবে। আর এখানে যে কজন ছিলাম, এখন সিকিউরিটির কাজ করি। তবে আমাদের যে প্রাপ্য বেতন তা আমাদের দেওয়া হয় না। রাতে পাহারা দিই, কিন্তু আমাদের সুরক্ষা নেই। আমাদের বেতন একটি অংশ এই সামাজিক সুরক্ষার জন্য কাটা হত। তবে এখন না দেয় সুরক্ষা, আর বেতন কাটার পর যে টাকাটা পাই তা দিয়ে সংসার চলে না। স্থানীয় বিডিও, প্রশাসন সবাইকে জানানোর পরেও কোন লাভ হয়নি। মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে সমস্যা মেটাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিন্তু তারাও কথা বলতে চায়নি। 
পলাশীর রেল স্টেশনের পাশে রয়েছে রেল বসতি। বহুদিন ধরে রয়েছে ওঁরা। তবুও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ওদের। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে সরে যেতে হবে ওঁদের। তবে পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা করেন সরকার। পাশাপাশি মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেই বললেই চলে, এমনটাই জানালেন রেল কলোনি বস্তির একজন বাসিন্দা।
পাশাপাশিই বৃহস্পতিবারই নবদ্বীপেও হয় ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’-র সমাবেশ। নবদ্বীপ পৌরসভার তৃণমুলের ঘুঘুর বাসা ভেঙে দেওয়ার ডাক দেন নেতৃবৃন্দ।

Comments :0

Login to leave a comment