পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, মনে করছে হাই কোর্ট। এদিন কংগ্রেসের পক্ষে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির পর একথা বলেছেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিসন বেঞ্চে এদিন মামলার শুনানি হয়। আদালতের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ একাধিক বিষয় রাজ্যের মতামত চাওয়া হয়েছে। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ভোটগ্রহন এবং গননা প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করার জন্য।
নির্বাচন সংক্রান্ত কোন কাজে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ব্যাবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে আদালত। এই বিষয় আগেই আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে অধীর চৌধুরী শুক্রবার জানিয়ে ছিলেন যে, পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে প্রহসনে পরিনত না হয় তার জন্য তারা আদালতের দারস্থ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
তিনি বলেছেন, দিন ঘোষণার ক্ষেত্রে তৎপরতা দেখিয়েছেন নব নিযুক্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। তাঁকে অভিনন্দন। কিন্তু শুধু দিন প্রকাশের ক্ষেত্রে তৎপরতা দেখিয়ে থেমে থাকলেই হবে না। আমাদের দাবি, সুষ্ঠু ভাবে মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া, সমস্ত রাজনৈতিক দলকে অবাধে প্রচার করার সুযোগ করে দেওয়া এবং সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়া অবধি এমনই সজাগ, সক্রিয় এবং তৎপর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।
সেলিম বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপই হল নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। কেবলমাত্র নির্বাচনের দিন কিংবা ভোট গণনার দিনে নিরাপত্তার কড়াকড়ি করলে চলবে না। গোটা মাস জুড়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই দাবিতে ১৫ জুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তর অভিযান করবে রাজ্য বামফ্রন্ট।
ভিডিও বার্তায় সেলিম বলেন, রাজ্যের নির্বাচন কর্মীরাও তাঁদের নিরাপত্তা চাইছেন। ২০১৮ সালে ভোটকর্মী রাজকুমার রায় খুন হন। পাঁচ বছর পরেও তাঁর খুনিরা গ্রেপ্তার হল না। সরকার এটাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, ২০২৩ সালে যেন এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। উল্লেখ্য সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করা হয়েছে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য।
Comments :0