BANGLADESH DEATH

একদিনেই বাংলাদেশে নিহত ১০, আগুন বিটিভি’র দপ্তরে

আন্তর্জাতিক

কেবল একদিনেই বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা অন্তত ১০। সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে বৃহস্পতিবারও। 
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ছাত্রদের আন্দোলন ঘিরে সংঘাতে নিহতের মোট সংখ্যা অন্তত ১৯। বৃহস্পতিবার বেশ কিছু এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। 
বাংলাদেশে কর্মহীনতার হার চড়া। সরকারি তথ্যের উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে ১৭ কোটির দেশে প্রতি পাঁচজনে একজনের না আছে কাজ, না তারা করছে পড়াশোনা। এই পরিস্থিতির সঙ্গে আন্দোলনের যোগাযোগ আছে বলে মত বিশ্লেষকদের অনেকের।  
ঢাকার রাস্তায় এদিনই সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে ছাত্রদের তীব্র সংঘাত দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে এদিন নিহত দশজনের মধ্যে রয়েছেন এক বাসচালক এবং এক রিকশাচালক। বাসচালকের বুকে গুলির ক্ষত দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 
পুলিশের কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেটে আহত আন্দোলনকারীর সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে। আন্দোলনকারীরা কয়েকজায় পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে বলে জানাচ্ছে প্রশাসনের একাংশ। 
সরকারে আসীন আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন কেন আন্দোলনরত ছাত্রদের পেটাতে লাঠি হাতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে চড়াও হয়েছিল, তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে নাগরিকদের মধ্যে। 
ঢাকার রামপুরায় বাংলাদেশ টিভি’র দপ্তরে আগুন লাগানো হয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সম্প্রচার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা ফিরেছেন ক্যাম্পাসে। পুলিশকর্মীরা ক্যাম্পাসের বাইরে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। আন্দোলন দমাতে ছাত্রদের ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। 
এদিন দুপুরে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে তৈরি সরকার। রাতে তিনি বলেন, আন্দোলনরত ছাত্ররা আলোচনায় বসতে নারাজ। 
বিক্ষোভের সমন্বয়কারী পরিচয় দিয়ে নাহিদ ইসলাম সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘একদিকে ক্যাম্পাসে হামলা হবে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি ছোঁড়া হবে, আরেকদিকে আলোচনার কথা বলা হবে- দু’টি একসঙ্গে হয় না।’’ 
বৃহস্পতিবারও সরকারে আসীন আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের নেতা-কর্মীদের রাজপথে থাকতে বলেছেন। দেশের সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী দলীয় কর্মীদের রাস্তায় থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন। 
কাদের বলেন, কোটা আন্দোলন ধৈর্য ধরে দেখা হচ্ছে। দ্রুত এই ষড়যন্ত্রের স্বরূপ উন্মোচিত হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি এবং জামাত আগুন-সন্ত্রাস নিয়ে নেমেছে।
কিন্তু আওয়ামি লিগ নেতার এই বার্তায় ক্ষোভ আছে। দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগের কর্মীরা ক্যাম্পাসে গিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছিল কেন সে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষামহলেরই বিভিন্ন অংশ। সংবাদমাধ্যমে তাঁরা বলছেন, বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির মদত আন্দোলনের পিছনে থাকতে পারে। কিন্তু বিক্ষোভরত সকলকেই রাজনৈতিক অভিসন্ধির জন্য দায়ী করা যায় কিনা, সে প্রশ্ন তুলেছে এই অংশ।

Comments :0

Login to leave a comment