একদিনে শতাধিক প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছেন খান ইউনিসে। ইজরায়েলের হামলায় মঙ্গলবার রাত থেকে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২১।
আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনে বিচার চলছে। আন্তর্জাতিক আদালতে ইজরায়েলের আগ্রাসনকে দখলদারি বলেও চিহ্নিত করা হয়েছৃ। কিন্তু নেতানিয়াহু বেপরোয়া, পিছনে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদত।
প্যালেস্তাইনের একের পর এক রক্তাক্ত হামলায় বিশ্বময় ক্ষোভের পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। বৈঠক করবেন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের সঙ্গে। নেতানিয়াহুর সফরের প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ হয়েছে। একাধিক প্রতিবাদীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গাজার স্বাস্থ্য দপ্তর প্রতিদিন হামলায় নিহতের যে সংখ্যা জানাচ্ছে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে পশ্চিমীদের বিভিন্ন অংশ। তবে তদন্ত এবং তথ্যে নজরদারি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ারওয়ার’ জানিয়েছে প্যালেস্তাইনের তথ্য ভরসাযোগ্য।
ইজরায়েলের হামলা প্রসঙ্গে গাজার অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে খান ইউনিসের বনি সুহেইলা এলাকায় বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। ১২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। আরও বহু বাসিন্দা আটকে রয়েছে ভেঙে পড়া বিভিন্ন অংশে। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়বে।
হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার ডাক দিয়ে ইজরায়েলের বাহিনী হামলা চালাচ্ছে একের পর এক বসতি এলাকায়। বস্তুত প্যালেস্তিনীয়দের নিকেশ করার জন্য সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা, মত বিশ্বে বহু অংশের। যুদ্ধবিরতির দাবিতে প্রতিবাদও জানাচ্ছেন তাঁরা। এমন একের পর এক বসতি এলাকায় ফেলা হচ্ছে বোমা।
খান ইউনিসে মঙ্গলবার থেকে হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমও। মার্কিন সংবাদমাধ্যমেই বলা হচ্ছে, খান ইউনিসের কয়েক হাজার বাসিন্দাকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বসতি এলাকা। খান উইনিস একসময়ে গাজার দ্বিতীয় বড় শহর ছিল। এখন গোটা গাজা ভূখণ্ডে কোনও স্থায়ী আবাসই নেই। বুধবার গাজার স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে অন্তত ২০০টি বাড়িকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল।
KHAN YOUNIS ATTACK
ইজরায়লের হানায় খান ইউনিসে নিহত অন্তত ১২১, ঘরছাড়া কয়েক হাজার
×
Comments :0