Post Editorial on banned drug

দেশে নিষিদ্ধ ড্রাগ ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে

সম্পাদকীয় বিভাগ


নিষিদ্ধ ড্রাগের বাড় বাড়ন্ত ব্যবসা এবং ড্রাগ ব্যবহারে লক্ষ লক্ষ পরিবারের বিরাট ক্ষতি নিয়ে গত সপ্তাহে লোকসভায় উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকারি তৎপরতার বিরাট ঘাটতি সমস্ত ক্ষেত্র থেকেই দীর্ঘদিন ধরে সমালোচিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সাধারণভাবে মুখ খুললেই বুলডোজারের বাক্যবাণ বর্ষণ করেন। লোকসভার বিতর্কে ঠিক তাই করেছেন। গলা চড়িয়ে শাহ আলোচনার জবাবে বলেছেন, সব রাজ্যের  ড্রাগ পাচার ও ড্রাগ ব্যবসার জাল সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হয়েছে। এবং আগামী দু’বছরের মধ্যে এই পাচার ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীদের জেলে পোরা হবে ‘ড্রাগমুক্ত ভারত’ গঠনের লক্ষ্য পূরণে। আলোচনার শেষে লোকসভার অধ্যক্ষের ভারত থেকে ড্রাগ নেশা দূর করার একটা শপথ প্রস্তাব সকলের সমর্থনে গৃহীত হয়।

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগও এই মর্মে জোরালো যে সরকার কোন ঘোষণা বা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারে না; কারণ বিজেপি সরকার ‘বিরোধী মুক্ত’, ‘সমালোচনা মুক্ত’ এবং সর্বোপরি ‘গণতন্ত্রমুক্ত’ ভারত গড়ার অভিযানকেই প্রধান লক্ষ্য হিসেবে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে কেন্দ্রীয় সরকার ‘নেশা মুক্ত ভারত অভিযান’-এর ডাক দেয়। তার জন্য সমীক্ষার ভিত্তিতে দেশের ৩২টি  রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ড্রাগপ্রবণ ৩৭২টি জেলাকে টার্গেট বলে সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে ঘোষণা করে। কী ফল হলো এই অভিযানের— সরকারের আর কোনও সাড়াশব্দ নেই। ১৯৯০-এর দশকে পুরোদমে নয়া উদারীকরণের বিপজ্জনক রাস্তা সরকার প্রশস্ত থেকে প্রশস্ততর করেছে। বিজেপি’র বাজপেয়ী সরকারের ৬ বছর এবং মোদী সরকারের আট বছর আরও আগ্রাসীভাবে এই ধ্বংসাত্মক নীতি অনুসরণ করা হয়। সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত অবাধ আর্থিক নীতির ফলশ্রুতিতে সরকারের উচ্চ স্তরে সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাপকভাবে দেশে আগ্নেয়াস্ত্র বন্যা, রাজনীতির অপরাধীকরণ, পর্ণোগ্রাফি এবং তার সঙ্গে যার অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্যের ব্যবহার গোটা সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কর্পোরেটদের যথেচ্ছ লুণ্ঠনের সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক বৈষম্য বৃদ্ধি, জনগণের আর্থিক দুর্দশা ও কর্মহীনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক দিক থেকে গোটা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর এই বিষয়গুলি ক্রমশ মারাত্মক আকার নিতে থাকে। সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন আদালতে এই ড্রাগ অপব্যবহারের বিষয় নিয়ে জনস্বার্থ মামলার পাহাড় গড়ে ওঠে। চারদিকে গড়ে ওঠে এই ব্যবসার ছোট বড় অসংখ্য মাফিয়া চক্র। চলচ্চিত্রের তারকারা সহ বিভিন্ন জগতের ব্যক্তিরা, স্কুল কলেজ ক্লাব প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। ফৌজদারি অপরাধও বেড়ে চলতে থাকে। এমন ঘটনাও আছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ নেয় তদন্তকারী অফিসাররাও।  

২০১৪ সালে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক সমীক্ষায় বলা হয় যে ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সিদের মধ্যে অ্যালকোহলে নেশাগ্রস্ত হয়েছে ২৮.৬%, ধূমপানের নেশাগ্রস্ত ১৫ শতাংশ, এই বয়সের মেয়েদের মধ্যে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৮.৫% এবং ৭ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যানে দেখা যায় দুনিয়ায় প্রতিবছর অ্যালকোহলে নেশাগ্রস্ত ৩০ লক্ষের মৃত্যু হয় এবং গুরুতর স্বাস্থ্যহানি ঘটে কয়েক কোটি আসক্ত মানুষদের। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টে একটি রায়ে অ্যালকোহল ও ড্রাগ অপব্যবহার নিয়ে জাতীয় সমীক্ষা করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সরকার সমীক্ষার রিপোর্ট দেয় যে ভারতে ১১ থেকে ৭৫ বছর বয়সিদের মধ্যে ১৪.৬ শতাংশ অ্যালকোহলে আসক্ত অর্থাৎ প্রায় ১৬ কোটি। ১৭জন পুরুষ পিছু একজন মহিলার এই নেশায় আসক্তি। এই ১৬ কোটির মধ্যে ৫. ৭ কোটি লোক মারাত্মকভাবে অ্যালকোহলে নেশার উপর নির্ভরশীল হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও আক্রান্ত। ৩.১ কোটি লোক ক্যানাবিজ বা ভাঙ্গ জাতীয় মাদকে আসক্ত। এদের মধ্যে ২৫ লক্ষ গুরুতরভাবে আক্রান্ত। সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া সরকারি রিপোর্টে আরও বলা হয় ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের মধ্যে ১.৫৮ কোটি নিষিদ্ধ ড্রাগে আসক্ত। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে তিরস্কার করে বলে যে ২০১৪ সালের রায়ের পর চার বছর এই বিপদের মোকাবিলায় সরকার কোনও জাতীয় নীতি ঘোষণা করেনি। ‘শিশু কিশোর বাঁচাও আন্দোলন’-এর পক্ষ থেকে দায়ের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ‘অ্যালকোহল ও ড্রাগ অপব্যবহার থেকে আমাদের শিশুদের রক্ষা করার জন্য’ যাবতীয় উদ্যোগ নিতে সরকারকে পরামর্শ দেয়। সমাজকে এবং শিশু কিশোর যুবকদের ক্রম অধঃপতনের হাত থেকে বাঁচানো সরকারের কাছে যেন গুরুত্বহীন একটি বিষয়- এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের ড্রাগ অ্যা ন্ড ক্রাইম সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে ড্রাগের ব্যবসায় ভারত অন্যতম একটা বড় কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। বাইরে থেকে এবং প্রতিবেশী সীমান্ত পেরিয়ে পাচার হয়ে শুধু এই ড্রাগ ভারতে ঢোকে না, ভারতে উৎপাদনও যথেষ্ট। এই রিপোর্ট অনুসারে ভারতে নিষিদ্ধ যে হেরোইনের অবৈধ ব্যবসা হয় তার ৫৪ শতাংশ হেরোইন ভারতে তৈরি হয় । ভারত থেকে বাংলাদেশেও এই ধরনের নানা নিষিদ্ধ ড্রাগ পাচার হচ্ছে। মায়ানমার থেকেও বাংলাদেশে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই চক্র সক্রিয়। এক ঢাকাতেই ২৫ লক্ষ মানুষ এই ড্রাগে নেশাগ্রস্ত। শ্রীলঙ্কা ও পূর্ব আফ্রিকা থেকেও এই ড্রাগ পাচার হয়ে আসছে। ভারতের ড্রাগ পাচার, চোরা চালান ও ব্যবসার একটা প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে গুজরাট, যে রাজ্যের সমুদ্র উপকূল ১৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং সেখানে বন্দরও অনেক যার প্রধান নিয়ন্ত্রক মোদী- ঘনিষ্ঠ আদানি ও অন্যান্যরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সি, রাজ্য সরকারের সন্ত্রাস- বিরোধী স্কোয়াড রয়েছে। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত অক্টোবরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন ড্রাগ ব্যবসার বিরুদ্ধে গুজরাট সরকার দারুণ কাজ করছে সব সমাধান করে দিচ্ছে, অন্য রাজ্যেরও  তা অনুসরণ করা উচিত। এর আগে থেকে তো বটেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বক্তব্যের পরেও আদানির প্রকাণ্ড মুন্দ্রা বন্দর, কছ জেলার কান্দোলা বন্দর থেকে ভারতের সবচেয়ে বেশি নিষিদ্ধ ড্রাগ ধরা পড়ে। অমিত শাহের হিসেবে, গত আট বছরে ৩.৫ লক্ষ কিলো ড্রাগ এখান থেকে ধরা পড়েছে যার মূল্য কুড়ি হাজার কোটি টাকা। ধরা পড়েনি পাচার হয়ে গেছে তার পরিমাণ এর চেয়ে অনেক অনেক যে বেশি এটা অনুমান করা কঠিন নয়, অতিরঞ্জনও নয়। কেবল মুন্দ্রা বন্দর থেকে দফায় দফায় যে ড্রাগ বাজেয়াপ্ত হয়েছে তারই মূল্য লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। পাঞ্জাব হরিয়ানা এবং কমবেশি সব রাজ্যের নানা জায়গা থেকেও এই নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়মিত উদ্ধার হয়ে চলেছে।

কিন্তু  কতটুকুই বা?  উৎপাদন, পাইকারি বণ্টন,পাচার এবং বিক্রয়ে গোটা দুনিয়ায় এ ব্যবসার আর্থিক পরিমাণ কয়েক বছর আগে হিসেব করা হয়েছে বছরে ৩২০০০ কোটি ডলার। জাহাজে বিরাট বিরাট কন্টেনার বা ধারণপাত্রের মাত্র দশ শতাংশের নিষিদ্ধ সামগ্রী পরীক্ষা করা সম্ভব হয়। অতি ক্ষুদ্র। এভাবে আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র সব দেশে পাচার করে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নিষিদ্ধ ড্রাগের ব্যবহার বেড়ে চলেছে।  সুপ্রিম কোর্ট, বিভিন্ন হাইকোর্ট এবং বিরোধীরা এই বিপদে প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বারবার বলে আসছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে তার গুরুত্ব কোথায়? কেন্দ্রীয় সরকার এবং শাসক দল সদাব্যস্ত ধর্মীয় মেরুকরণকে তীব্রতর করা, সরকারের সমস্ত এজেন্সি  দিয়ে ও তাদের কাজে লাগিয়ে প্রতিবাদী ও বিরোধীদের দমন, বিরোধী অঞ্চলিক দলগুলোকে ভাঙ্গা, কর্পোরেটদের সেবায় গোটা ব্যবস্থাকে কাজে লাগানো ইত্যাদি। চোরাচালান, কালোবাজারি, কালো টাকা, নিষিদ্ধ অস্ত্র, ড্রাগ ব্যবসা নির্মূল করতে সরকারকে মামুলি ছাড়া উৎসাহী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। ড্রাগ সংক্রান্ত মামলা বেড়েছে এক দশকে ৭৪ শতাংশ । এই ধরনের চোরাচালান, কালো টাকা, ফাটকা বাজি ও ধান্দাবাজির অর্থ বিরাট আকারে ব্যবহৃত হচ্ছে রাজনীতিতে যার প্রধান উপভোক্তা শাসক দল। আঞ্চলিক দলগুলিতেও তা সংক্রমিত। তৃণমূল সরকার সেভাবেই চলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।  অকাট্য ঘটনাচক্রে বিশেষত দলটাই যেন তোলাবাজ ও পাচারকারীদের নিয়ন্ত্রণে। নির্বাচন এলে নির্বাচন কমিশন নগদ অর্থ,  ড্রাগ, আগ্নেয়াস্ত্র, অ্যালকোহল যা উদ্ধার করে সেটা  ক্ষুদ্র একটি ভগ্নাংশ মাত্র । যা বাজেয়াপ্ত হয় তাতে বোঝা যায় রাজনীতির ক্ষেত্রে এই বিপদ দিন দিন কি দৈত্যাকার রূপ পরিগ্রহ করছে। ২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন এসব যা বাজেয়াপ্ত করে তার আর্থিক মূল্য ছিল ২৭.২১ কোটি টাকা। ২০২২ সালের গুজরাট নির্বাচনে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন নগদ অর্থ সহ অন্যান্য  সামগ্রী উদ্ধার করেছে তার মোট মূল্য ২৯০.২৫ কোটি টাকা, আগের নির্বাচনের চেয়ে দশগুণ বেশি। ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার জন্য সামগ্রী ধরা পড়েছে মাত্র ১৭১ কোটি টাকা মূল্যের। দু’মাস আগে গত অক্টোবরে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ হলো যখন সরকার জাতীয় তদন্ত এজেন্সি এবং রাজস্ব বিভাগের গোয়েন্দাদের  দিয়ে এর বিপদের মোকাবিলায় দুর্বল জায়গাগুলি বন্ধ করার পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা করছে,  তখন ড্রাগের অপব্যবহার  গোটা সমাজে জাঁকিয়ে বসেছে। দু’বছরের মধ্যে ড্রাগ পাচার ও ব্যবসায় জড়িত কোন অপরাধী জেলের বাইরে থাকবে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই ঘোষণা সরকারের নিস্পৃহ মতিগতির সঙ্গে আদৌ খাপ খায় না। উত্তরপ্রদেশে কর্তার হুকুমে  অপরাধী নির্মূলের নাম করে বিনা বিচারে একতরফা খুন করে দেওয়ার অভিযান চালায় পুলিশ। এটা স্মরণ করিয়ে দেয় ফিলিপাইন্সের বীভৎস ঘটনা। ২০১৬ সালে সে দেশের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট দুতার্তে ড্রাগের মূল  উৎখাত করার নামে যে হিংসাত্মক অভিযান চালায় তাতে সব দেশের মানুষ শিউরে ওঠে। আইন ও বিচারের বাইরে ড্রাগে নেশাগ্রস্তদের দেখামাত্রই খুন করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট যিনি নিজেকে ফিলিপাইন্সের হিটলার বলে সব সময় জাহির করতেন। এই অভিযানে যাদের খুন করা হয় তাদের অধিকাংশই শহরের গরিব অংশের মানুষ। অভিযানের সপক্ষে তীব্র প্রচার এবং সমালোচক মিডিয়াকে দমন করার মাধ্যমে দেশের বেশ কিছু মানুষও বিভ্রান্ত হয়, এ কারণে সে দেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে তার কন্যা পিতার এই সাফল্যের প্রচার করে ভোট পেয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছে। একইভাবে যোগী আদিত্যনাথের  গণতন্ত্র- বিধ্বংসী কার্যকলাপের পক্ষেও সাম্প্রতিক উত্তরপ্রদেশের ভোটে যোগীর পক্ষে বেশ কিছু সমর্থন মেলে। ফিলিপাইন্সে ড্রাগ ব্যবসা বন্ধ হয়নি, উত্তরপ্রদেশের সমাজবিরোধী কার্যকলাপও বন্ধ হয়নি, সর্বত্র নয়া ফ্যাসিস্ত এবং দক্ষিণপন্থী  শাসক দলগুলি ব্যবহার করে চলেছে এই অন্ধকারের জীবদের, সব রকমের পাচারকারীদের এবং মাফিয়াদের। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সন ১৯৭১ সালে ড্রাগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন, নিষিদ্ধ ড্রাগ ব্যবহারকে বলেছিলেন জনগণের এক নম্বর শত্রু। পঞ্চাশ বছর পর দেখা যায় এই যুদ্ধ কোনও লক্ষ্য পূরণের ধারেকাছে যেতে পারেনি। সমীক্ষায় আরও বলা হয়, এক লক্ষ কোটি  ডলার খরচ হয়েছে, অথচ আমেরিকায় এখন এই  ড্রাগ -ব্যবহার ব্যাপকতর। দেশগুলি বন্দিতে উপচে পড়েছিল, কিন্তু বেশিরভাগ আক্রমণ নেমে এসেছিল কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে। ফৌজদারি অপরাধ না করলেও অনেকেই বছরের পর বছর  জেলবন্দি। সংশোধনাত্মক কোনও কর্মসূচি মার্কিন প্রশাসনের ধাতেই নেই। কর্পোরেট- মুখিনতা ছেড়ে প্রকৃত জনমুখিনতারও ধার ধারে না আমেরিকা ও সমধর্মীরা। অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েও আমেরিকার এই যুদ্ধে লাভ হয়নি। আমেরিকা পঞ্চাশ বছরে পারেনি।  মোদী- শাহরা নাকি একই রাস্তায় দু’বছরে বাজিমাত করবে!

Comments :0

Login to leave a comment