রাস্তায় গর্ত। সারানো হয় না। বর্ষাকালে অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। পানীয় জল আনতে যেতে হয় গ্রামের বাইরে। গঙ্গারামপুরের নন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ছে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত পরিষেবা দেয় না, কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অভিযোগ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে নন্দনপুর। পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের কথায় উঠে আসলো রাশি রাশি ক্ষোভ। পানীয় জল থেকে রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা নাজেহাল।
গ্রামের বাসিন্দা মীনা লোহার, শম্ভুপদ দাস বলছেন, পাঁচ বছর ধরে কাজ শুধু হবে হচ্ছে করেই কাটিয়ে দিল পঞ্চায়েতের মাথারা। বেশিরভাগ রাস্তার পিচ উঠে গিয়েছে, খানা খন্দে ভর্তি। বর্ষাকাল তো দূরের কথা, খরার মাসেই রাস্তা দিয়ে চলা ফেরা করা ভীষণ কষ্টের। অসুস্থ হলে বর্ষাকালে অ্যাম্বুলেন্সও ঢোকে না গ্রামের রাস্তায়।
পানীয় জলের সমস্যার কথাও উঠে এল। জানা গেল, পানীয় জল আনতে গ্রামের বাইরে যেতে হয়। যে কয়েকটি নলকূপ পঞ্চায়েত থেকে বসানো হয়েছে তার অর্ধেকই খারাপ। এক কিলোমিটার দূরে নলকুপ থেকে জল আনতে হয়। নলবাহিত বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের প্রকল্প থেকে কবে জল মিলবে জানা নেই কারও।
আবাস যোজনার ঘর নিয়েও বিস্তর অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তাঁদের অভিযোগ, গরিব যোগ্য প্রাপকরা আবেদন করলেও ঘর পায়নি। বৃদ্ধ অসহায়, অসমর্থরা ভাতাও পাননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নন্দনপুর পঞ্চায়েতের প্রধান নুর নেহার বিবি জানান অর্থের বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ করে ওঠা সম্ভব হয়নি।
সিপিআই(এম) বালুরঘাট জেলা কমিটির সদস্য অচিন্ত্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গঙ্গারামপুর ব্লকের সব কয়টি পঞ্চায়েতেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় বেআইনি পথে ভোটকে প্রহসনে পরিণত করে পঞ্চায়েত দখল করেছিল। বর্তমান পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা সারা বছর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মেতে থাকে কাটমানির ভাগ বাটরায়।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের গ্রাম সংসদ সভা হয় না। গ্রামের মানুষের কোন কথাই তারা শোনে না। দুর্নীতিতে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান সহ শাসক দলের নেতারা। আমরা বামফ্রন্ট নির্দিষ্ট অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে লড়াই আন্দোলনে নেমেছি। তিনি বলেন এবারের পঞ্চায়েত হবে জনতার পঞ্চায়েত’’।
Comments :0