ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড পরিচালিত হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে পথ দুর্ঘটনায় আহত এক ইসিএল হাসপাতাল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার দুরবস্থাকে বেআব্রু করল। শনিবার দুপুর ২ টা নাগাদ কাজে যোগ দিতে গিয়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক পার করার সময় ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার বাঁশড়া হাসপাতালের একজন ঊর্ধ্বতন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী গুরুতরভাবে আহত হন। দু'চাকার গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত বাঁশরা হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু সেই সময় হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। ছিল না অ্যাম্বুল্যান্সও। এতে স্থানীয় ও হাসপাতাল কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং হাসপাতাল প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। দীর্ঘসময় পরে বাঁশরা কোলিয়ারি থেকে অ্যাম্বুলেন্স আনিয়ে আহত স্বাস্থ্যকর্মীকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত চন্দ্রা নাগ রায় (৫৮) ভারতের কোলিয়ারি মজদুর সভা (সিআইটিইউ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাঁশড়া এরিয়া হাসপাতাল শাখার সভাপতি। মৃত চন্দ্রা নাগ রায় এর মৃত্যুতে গভীর শোকজ্ঞাপন করেন ভারতের কোলিয়ারি মজদুর সভার সাধারণ সম্পাদক মনোজ দত্ত, কয়লা শ্রমিক নেতা কলিমুদ্দিন আনসারি, মৈনাক মণ্ডল, সুব্রত সিধান্ত, বীরযু যাদব সহ সিআইটিইউ নেতা সুপ্রিয় রায়, নারান বাউরি প্রমুখ। সমগ্র কয়লাঞ্চল জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। রবিবার বাঁশড়া হাসপাতালে প্রয়াত নেত্রীর মরদেহে ফুল,মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
ট্রেড ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে মৃত স্বাস্থ্যকর্মীর নিকটাত্মীয়কে চাকরি ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি মেনে নেয় ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, কেন্দ্র সরকারের এমডিও ও রেভেনিউ শেয়ারিং এর নামে কয়লা শিল্পকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতে চাইছে। কয়লাখনি শ্রমিকদের পরিষেবা ছাঁটাই করা হচ্ছে। ইসিএল খনিকর্মীদের ও তাদের পরিবারের চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের জন্য ২ টি কেন্দ্রীয় হাসপাতাল ও ৭ টি এরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য শয্যাসংখ্যা ৮২২ এবং ১১২ টি। এই হাসপাতালগুলিতে সর্বক্ষণের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নেই । এদিনের ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা, ডাক্তারদের উপস্থিতি এবং অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ECL Worker Death
হাসপাতালে চিকিৎসা না মৃত্যু ইসিএল কর্মী আন্দোলনের আহত নেত্রীর

×
Comments :0