HASINA INDIA BRITAIN

হাসিনার আশ্রয় অনিশ্চিত, ব্রিটেনের সঙ্গে কথা ভারতের

জাতীয়

শেখ হাসিনার আশ্রয় প্রসঙ্গে ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 
পরিস্থিতি কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে আসতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। দিল্লির কাছে হিন্দোন বিমানঘাঁটিতে নামেন। ভারতে আপাতত এলেও ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া হাসিনার লক্ষ্য। কিন্তু ব্রিটেন হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে বিশেষ ইচ্ছুক নয়। এমন কথাও বলা হয়েছে যে, রাজনৈতিক শরণার্থীদের ব্রিটেন বিভিন্ন সময়ে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়ে অন্য যে দেশে প্রথমে গিয়েছেন সেখানেই আশ্রয় চাওয়া বাঞ্ছিত। এই পরিস্থিতিতেই হয়েছে আলোচনা। 
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশ এবং পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে দুই বিদেশ মন্ত্রীর কথা হয়েছে।’’ মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সব দেশের সরকারের উচিত তাদের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তবে বাংলাদেশেরই বিভিন্ন সংগঠন এবং সামাজিক গোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের রক্ষায় এগিয়ে আসছেন।’’
জয়সোয়াল বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনের শাসন ফিরে আসবে এটিই কাম্য। তাদের দেশের পাশাপাশি আঞচলিক স্থিতিশীলতার জন্যও তা জরুরি।’’ 
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নেওয়ার কথা মহম্মদ ইউনিসের। ঢাকায় এসে তিনি বলেছেন, ‘‘আপনারা যদি আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, তাহলে নিশ্চিত করেন যে কোনও জায়গায় কারও ওপর হামলা হবে না।’’ এদিন প্যারিস থেকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তিনি। 
এদিনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সরকার। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন এবং জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে। হাসিনা যদিও আগেই আশঙ্কা জানিয়েছিলেন যে তাঁর সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে আমেরিকার মতো বিদেশী শক্তি।
সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে তীব্র সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয় জুনে। ২০১৮-তে এই সংরক্ষণ বিক্ষোভের মুখে পড়ায় বাতিল করেছিলেন হাসিনা। কিন্তু সম্প্রতি হাইকোর্ট সংরক্ষণের পক্ষে রায় দেয়। সুপ্রিম কোর্ট সংরক্ষণ বাতিল করলেও আন্দোলন থামেনি। াত্রদের সঙ্গে বভিন্ন অংশকে দেখা গিয়েছে আন্দোলনে। জুলাইয়ে আন্দোলনের প্রধান অভিমুখ হয় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে হাসিনাকে হটানো। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিনশোর বেশি মানুষ। 
হাসিনার অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ এবং ছাত্রদের বিক্ষোভকে সমর্থন জানালেও শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় আঘাতের ঘটনাকে সমর্থন জানাতে নারাজ বিভিন্ন অংশ। জামাত ই ইসলামির মদতে মৌলবাদী অংশের তৎপরতার বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অংশের প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। হিংসা বন্ধ এবং সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের দাবি নিয়ে জায়গায় রাস্তায় নামতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন অংশের মানুষকেই।

Comments :0

Login to leave a comment