MANDA MITHAI — TAPAN KUMAR BIRAGYA — NIBEDITA O BANGSHI SEN — NATUNPATA | 7 DECEMBER 2025, 3rd YEAR

মণ্ডা মিঠাই — তপন কুমার বৈরাগ্য — ভগিনী নিবেদিতা ও বশী সেন — নতুনপাতা — ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, বর্ষ ৩

নতুনপাতা/মুক্তধারা

MANDA MITHAI  TAPAN KUMAR BIRAGYA  NIBEDITA O BANGSHI SEN  NATUNPATA  7 DECEMBER 2025 3rd YEAR

মণ্ডা মিঠাই

নতুনপাতা

ভগিনী নিবেদিতা ও বশী সেন

তপন কুমার বৈরাগ্য 

৭ ডিসেম্বর ২০২৫, বর্ষ ৩
 

বশী সেন ছিলেন একজন বিজ্ঞানী।তার আসল নাম ছিল বশীশ্বর সেন।১৮৮৩খ্রিস্টাব্দে তিনি বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট হন। গ্রাজুয়েট হয়েই তিনি জগদীশ চন্দ্র বসুর সাথে যোগাযোগ করেন।এই কাজে তাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। ভগিনী নিবেদিতার
সাথে বিবেকানন্দের বাড়িতে তার পরিচয় হয়।সালটা ১৯১১খ্রিস্টাব্দ।ভগিনি নিবেদিতা এর আগে যখন লন্ডনে ছিলেন,অর্থাৎ ১৯০০খ্রিস্টাব্দে জগদীশচন্দ্র বসু লন্ডনে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভগিনী নিবেদিতা রাতদিন জগদীশচন্দ্র বসুর সেবা করে তাকে ভালো করে তোলেন।জগদীচন্দ্র সেই থেকে তাকে মা বলে মনে করতেন।তাকে মায়ের সম্মান দিতেন।ভগিনী নিবেদিতা
বশী সেনের সাথে জগদীশ চন্দ্র বসুর পরিচয় করে দেন। জগদীশ চন্দ্র বশী সেনের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ দেখে তাকে আপন করে নেন ।তিনি জগদীশচন্দ্রের  গবেষণাগারে গবেষণা শুরু করেন। তিনি এখানেই উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।তিনি ভারতের সবুজ বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
 

ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক এম,এস,স্বামীনাথনের সাথে তিনি একসাথে কাজ করেন।এদেশে  কৃষি গবেষণায় তিনি গম,ভুট্টা,জোয়ার,বাজরার মতন শস্যের সংকরায়ণ ঘটান। তিনি আলমোড়ায়  বিবেকানন্দ ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করেন।১৯৫৭খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতসরকারের পদ্মভূষণ উপাধি পান।তিনিই বিষ্ণুপুরের একমাত্র পদ্মভূষণ পাওয়া বিজ্ঞানী।
 

ভগিনী নিবেদিতা  ১৯১১খ্রিস্টাব্দের ১৩ অক্টোবর মারা যান। কিন্তু তার আগে বশীসেনের সাথে জগদীশচন্দ্র বসুর পরিচয় করিয়ে দিয়ে যান। যা বশী সেনের জীবনের ধারাকে সম্পূর্ণ অন্যমাত্রায় নিয়ে এসেছিল। বশী সেন ১৯৭১খ্রিস্টাব্দের ৩১শে আগস্ট মারা যান। 

Comments :0

Login to leave a comment