ফের চাকরির পরীক্ষা পিছিয়ে গেল উত্তর প্রদেশে। কারণ জানানো না হলেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের আবহেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাজ্যের সরকারি নিয়োগ বিষয়ক কর্তৃপক্ষ উত্তর প্রদেশ পিএসসি’র বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ১৭ মার্চ পরীক্ষা হচ্ছে না। জুলাইয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত পরীক্ষা বিভ্রাটে জেরবার উত্তর প্রদেশের চাকরিপ্রার্থী যুবক-যুবতীরা। ২ মার্চ বাতিল হয়েছে রিভিও অফিসার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট রিভিউ অফিসারের পরীক্ষা। ১১ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। প্রশ্নপত্র ঘুরছিল সোশাল মিডিয়ায়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিলেও অপরাধীদের ধরতে পারেনি পুলিশ।
তবে সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে পুলিশ কনস্টেবলের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে। ফেব্রুয়ারির ১৭ এবং ১৮ রাজ্যের পুলিশ কনস্টেবল পদে পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের বিপুল ভিড় সারা দেশের নজর টেনেছিল। ৬০ হাজার পদের জন্য পরীক্ষায় অংশ নেন ৪৮ লক্ষের বেশি যুবক-যুবতী। কিন্তু এই পরীক্ষারও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। পরের কয়েকদিন উত্তর প্রদেশের সর্বত্র দলে দলে যুবক-যুবতে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রাস্তায় নেমে। টানা বিক্ষোভ চলে লক্ষ্ণৌয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দপ্তরের সামনে।
এই ফাঁসের পিছনে চক্র কাজ করছে বলে সন্দেহ জানিয়েছে একাংশ। পুলিশের তদন্ত চললেও বলার মতো সাফল্য আসেনি। কিছু ধরপাকড়ের বাইরে এগতে পারছে না যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন রাজ্যের বিজেপি সরকার।
বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, যে পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা হলো, তার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৩৮ জন। বিভিন্ন অংশেরই মত, ফের ফাঁস হয়ে যেতে পারে প্রশ্নপত্র। সেই ভয়েই পিছিয়ে এসেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গত ২৩ ডিসেম্বর সরকারি প্রচার চালিয়ে ‘রজগার মিশন’ ঘোষণা করেন আদিত্যনাথ। কেবল পুলিশেই ৬০ হাজার পদে নিয়োগ, রাজ্যে প্রথম এত বড় মাপের উদ্যোগ বলে ঘোষণাও করেন।
আদিত্যনাথ এবং তাঁর সরকারি প্রচারে কড়া শাসনের হুঙ্কার একেবারে নিয়মমাফিক হয়ে গিয়েছে। দেশের মধ্যে এ রাজ্যে যদিও অপরাধে, বিশেষ করে মহিলাদের বিরুদ্ধে, ওপরের সারিতে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর বিভিন্ন অংশ প্রশ্ন তুলছেন সরকার এবং তার পুলিশের বহু প্রচারিত নজরদারির দক্ষতা নিয়ে।
EXAM UP POSTPONED
প্রশ্ন ফাঁসের আবহে এবার চাকরির পরীক্ষা পিছালো উত্তর প্রদেশে
×
Comments :0