Post Editorial

অতিরিক্ত পদ মানবিক নয়, দুর্নীতি আড়াল

সম্পাদকীয় বিভাগ

রাজ্য জুড়ে স্কুল শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত  চলাকালীন বিতর্কের জল আরও ঘোলা হয়ে উঠল আদালতে পেশ করা স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক বিচিত্র সুপারিশকে কেন্দ্র করে। সুপারিশ বিচিত্র এই কারণেই যে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন যাঁদের প্রাথমিক দায় শূন্য পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ সুনিশ্চিত করা, তারা সেই কাজে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর অবৈধ নিয়োগের দরুন আদালতের নির্দেশে যখন রাজ্যের মন্ত্রী কন্যা সহ বহু প্রার্থীর চাকরি খোয়া যাচ্ছে তখন তাঁরা ঘুরপথে এমন অবৈধ নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করেছে অভিনব কায়দায়। 
অতিরিক্ত পদ – অযোগ্য নিয়োগ - রাজনৈতিক স্বার্থে 
এসএসসি আরজি জানিয়েছে যে, সরকার রাজ্যের সরকারি স্কুলে শিক্ষক শিক্ষা কর্মীর অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করে অবৈধ নিয়োগের কারণে খোয়া যাওয়া প্রার্থীদের যেন  চাকরি বহাল রাখে । এমন প্রস্তাব পেশ হওয়ার পর  আদালতের মাননীয় বিচারপতি কেবল নন  যে কোনও কাণ্ড জ্ঞান সম্পন্ন মানুষের ভিরমি খাওয়ার উপক্রম হবে  তাতে সন্দেহ নেই । ফলে সঙ্গত কারণেই এমন বিচিত্র প্রস্তাবের প্রেক্ষিত এবং স্রষ্টা কে খুঁজে পেতে চেয়েছে আদালত । আক্ষরিক অর্থে এমন প্রস্তাব এসএসসি’র কাছে থেকে আদালতে  পেশ হলেও তার পেছনে রাজ্যের সরকারের যে ইতিবাচক সমর্থন রয়েছে তার প্রমাণ সাম্প্রতিককালে মিলেছিল রাজ্যের শাসক দলের  মন্ত্রী সান্ত্রীদের কথাতেই। কিন্তু আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অবশেষে কোনও রাখ ঢাক না করেই রাজ্যের শিক্ষা সচিব স্বীকার করে নিয়েছেন যে রাজ্য মন্ত্রীসভা এমন কয়েক হাজার অতিরিক্ত পদ অনুমোদন  করেছিল দুর্নীতির দায়ে চাকরি খোয়ানো প্রার্থীদের রক্ষা কবচের পথ বের করতেই। স্বভাবতই দেশের সংবিধানের নামে শপথ নেওয়া একটা রাজ্যের মন্ত্রীসভা দুর্নীতিগ্রস্ত চাকুরেদের  চাকরি বহাল রাখতে সরকারি রাজকোষের দুশো বাষট্টি কোটি টাকার খরচের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে কি না ? ফলে নিয়োগ দুর্নীতির বিভিন্ন পর্যায়ে রাজ্যের শাসক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির যে অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্তে সেই সন্দেহ আরও জোরালো হয়ে উঠল। কারণ দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত চাকরি প্রার্থীদের লাখ লাখ টাকার ঘুষের বিনিময়ে পাওয়া চাকরি আদালতের রায়ে খারিজ হলে পাড়ায় পাড়ায়, কিংবা জেলায় জেলায় তাঁরাও যে সেই তোলা কিংবা ঘুষ নেওয়া নেতা কর্মীদের ছেড়ে কথা বলবে না তা বলাই বাহুল্য।  আর তেমন ক্ষেত্রে যে জনরোষ তৈরি হবে তাঁর রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া আগামী যাবতীয় নির্বাচনে শাসক দলকে যে হাবুডুবু খাওয়াবে তাতেও সন্দেহ নেই । ফলে শিক্ষায় দুর্নীতির সিন্ডিকেটের চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নৈতিক অবস্থানের পরিবর্তে  রাজ্যের মন্ত্রীসভাকে ঘুর পথে দুর্নীতির পক্ষেই অবস্থান নিতে হলো ।  
আর এই প্রেক্ষিতেই এসএসসি’র সুপারিশ এবং রাজ্য মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত এই দুইয়ে মিলেই প্রমাণ হলো নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থার পথে হাঁটতে সরকার কিংবা কমিশন রাজি নয় উলটে তাঁরা অবৈধভাবে নিযুক্ত মানুষদের ঘুরপথে শিক্ষকের আসনে বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই কমিশনের  এমন বিচিত্র সুপারিশ এবং সরকারি সিদ্ধান্ত ঘিরেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক । বিতর্ক সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচারের পক্ষে নাকি বিপক্ষে রাজ্যের  গোটা সরকারি ব্যবস্থা তা নিয়েই ! 
অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি দুর্নীতি আড়ালের লক্ষ্যে 
আদালতের রায়ে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রাথমিকভাবে এসএসসি কিংবা শিক্ষা পর্ষদের ব্যর্থতা প্রমাণিত। আর এমন নিয়োগ দুর্নীতিতে বৃহত্তর চক্রের অন্বেষণে ইতিমধ্যে আদালতের আদেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তাঁদের তদন্ত শুরু করেছে । সেই তদন্তের স্লথ গতির মধ্যেও আদালতে পেশ করা বিভিন্ন চার্জশিটে  এসএসসি কিংবা শিক্ষা পর্ষদের কর্তাদের যুক্ত থাকার গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে দলে দলে শিক্ষা কর্তারা এখন শ্রীঘরে দিন কাটাচ্ছেন । সন্দেহ নেই শিক্ষার নিয়োগ দুর্নীতিতে এমন দৃষ্টান্ত গোটা দেশের নিরিখেই বিরল। এমন বিরল দৃষ্টান্তের প্রেক্ষিতে এসএসসি’র সুপারিশে সরকারি সিলমোহর চূড়ান্ত হলে ভবিষ্যতে এমন নিয়োগ সমস্যার প্রস্তাবিত  ‘সহজ’  বিকল্প আরও গভীর সঙ্কটের জন্ম দেবে বলেই আশঙ্কা । নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজ্যের সরকারের নেতা মন্ত্রীরা সুকৌশলে ঘোষণা করে যাচ্ছিলেন যে, তাঁরা মেধার ভিত্তিতে চাকরির পক্ষে হলেও এই ব্যবস্থায় কারও চাকরি যাক সেটা তাঁরা চান না । কারণ খুব স্পষ্ট যে চাকরি খোয়ানোর বীজ সাদা খাতা জমা করিয়ে কিংবা ওএমআর সিট নষ্ট করে সরকারি ব্যবস্থায় বুনে ছিল যারা তারা ছিল শাসক আশ্রিত দুষ্কৃতী এবং তোলা বাজেরাই। ফলে সেই দুর্নীতির বিষবৃক্ষ আজ যখন পল্লবিত তখন তাঁকে রক্ষা করা ছাড়া সরকারের হাতে ভিন্ন কিছু নেই । আর এখানেই দুর্ভাগ্যের বলি হচ্ছে সমাজের মেধাবী যোগ্য পড়ুয়ারা যারা চাকরির দাবিতে  দিনের পর দিন রাজপথে কিংবা ফুটপাতে চোখের জল ফেলে চলেছেন, অবস্থান করে পুলিশের অত্যাচার সহ্য করছেন, পুলিশের কামড় খাচ্ছেন প্রতিবাদ করতে গিয়ে, আর হারিয়ে চলেছেন  জীবনের অমূল্য সময়গুলো। আজ সরকারের উচিত ছিল যোগ্য মেধাবী প্রার্থীরা যারা সরকারের অব্যবস্থার কারণে বছরের পর বছর কাজের সুযোগ হারিয়েছে তাঁদের জন্য অতিরিক্ত পদ তৈরি করে তাঁদের ন্যায় বিচার সুনিশ্চিত করা কিন্তু সরকার হাঁটছে উলটো পথে, উলটো রথে । 
অযোগ্যদের অতিরিক্ত পদ নয় 
কোনও সন্দেহ নেই যে কোনও কর্মরত শিক্ষকের চাকরি প্রাপ্তির পর চাকরি খারিজ হওয়া তাঁর পারিবারিক জীবনে আর্থিক সঙ্কটের পাশাপাশি একাধারে লজ্জা এবং সামাজিক বিড়ম্বনা বটে । ফলে আদালতের রায়ে খারিজ হওয়া শিক্ষকদের  পুনঃনিয়োগের বিষয়টি নাকি রাজ্যের সরকার  ‘মানবিক’ দৃষ্টিতে দেখতে চান বলেই  মন্ত্রীসভার অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করে তাঁদের বহাল রাখার এমন সরকারি প্রয়াস ! কিন্তু ইতিমধ্যে চাকরিতে ঘুর পথে নিয়োগ প্রাপ্তদের বিড়ম্বনার কারণ যে সরকারিস্তরে সুশাসনের অভাবের কারণেই সেটা সরকার এখনও স্বীকার না করলে তাঁদের বিড়ম্বনা ভবিষ্যতে বাড়বে বৈ কমবে না । কারণ একটা অন্যায়কে আরেকটা অন্যায় দিয়ে ঢাকার মধ্যে দিয়ে   রাজনৈতিক ক্ষয় ক্ষতি কমানোর শাসকের  সমীকরণ কাজ করলেও আখেরে সেটা সামাজিক ক্ষতি পূরণে আদৌ সহায়ক হবে না সেটা এখন বোঝার সময় হয়েছে। আজ একথা বোঝা প্রয়োজন যে ঘুষ দিয়ে কিংবা ঘুরপথে যারা স্কুলে  চাকরিতে ঢুকে পড়েছে তাঁরা যে রাজ্যের সরকারি ব্যবস্থাকে ধোঁকা দিয়েই সে কাজ হাসিল করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । ফলে যারা আক্ষরিক অর্থে   সরকারের সাথে প্রতারণা করেছে তাঁদের প্রতি সরকারের এমন উথলে ওঠা দরদের কারণ বোঝা ভার ! সরকার দায়বদ্ধ থাকে সাংবিধানিক ন্যায়ের কাঠামোর মধ্যে থাকা আইন মানা নাগরিক সমাজের কাছে , আইন ভাঙা অপরাধীদের কাছে নয়।  মনে রাখতে হবে যে চাকরি চুরির চক্র রাজ্য জুড়ে লাখ লাখ টাকা তোলার বিনিময়ে সরকারি চাকরি বিক্রি করেছে দিনের পর দিন সরকারি ব্যবস্থার ঘেরা টোপে থেকে তাঁরা যেমন অপরাধী তার চেয়ে কোনও অংশে কম অপরাধী নন তাঁরাও , যারা সেই পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে স্কুলের চাকরি বাগিয়েছেন ঘুর পথে। ফলে এমন অপরাধীদের জন্য  সরকারের ‘মানবিক’ সিদ্ধান্ত গ্রহণ শেষমেশ ‘কুমিরের কান্নার’ চেয়ে বেশি কিছু নয় ।  
স্কুল শিক্ষায় বিশেষত এবং সাধারণভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির অভিঘাত দীর্ঘমেয়াদি । কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছাত্র-শিক্ষক এবং অভিভাবকের পারস্পরিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় আস্থা আর শ্রদ্ধা বোধের ওপর । কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির ধাক্কায় ভেঙে পড়া সেই আস্থা আর শ্রদ্ধার সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতেই প্রয়োজন অযোগ্য শিক্ষকদের স্কুলের চৌকাঠের বাইরে রাখা ।  কিন্তু  দুর্ভাগ্য যে অতিরিক্ত শিক্ষক পদ তৈরি করে সেই অযোগ্য মানুষদেরই  শিক্ষক পদে বহাল রাখতে চাইছে সরকার । সর্বোপরি, স্কুলের ক্লাস রুমে দাঁড়িয়ে কচি কাঁচাদের যারা নৈতিকতার পাঠ দেবেন তাঁরাই যদি অনৈতিকতার দায়ে বিদ্ধ হন , তখন শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য ব্যাহত হয় বৈকি ?  আজ এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে এই ভয়াবহ নিয়োগ দুর্নীতি যে কোনও এক ব্যক্তি বিশেষের প্রভাবজনিত কিংবা মস্তিষ্ক প্রসূত নয় বরং এটি যে বহু অসৎ মানুষের অশুভ আঁতাতের সামগ্রিক ফল । ফলে এমন নিয়োগ দুর্নীতির দায় তথাকথিত ‘স্বশাসিত সংস্থা’  এসএসসি কিংবা পর্ষদের ঘাড়ে ফেলে সরকার কোনভাবেই পার পেতে পারে না । অথচ সেই সরকারি দায় পালনের নমুনা যদি অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করে অন্যায়কে ঢাকার চেষ্টা হয়, সেটা যে ঘোর ‘কলির’ লক্ষণ তাতে সন্দেহ নেই । বরং এমন লাখ লাখ টাকা দিয়ে চাকরি জোটানো মানুষদের ভুল সংশোধনের লক্ষ্যে সরকারের উচিত তাঁদের ঘুগনি কিংবা ঝালমুড়ি বেচার মতো স্বনিযুক্তি প্রকল্পে উৎসাহিত করা । যেমনটা স্বয়ং রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন বহুবার সাম্প্রতিককালে বেকারদের জন্য । 
অতিরিক্ত পদ – দুরাত্মার ছল 
ঝাঁকে ঝাঁকে নিযুক্ত এমন শিক্ষকেরা এক আধ বছরের জন্য নয়, কার্যত তাঁরা আগামী কয়েক প্রজন্মের পড়ুয়াদের শিক্ষার নিয়ন্ত্রক ভুমিকায় থাকবেন । দুশ্চিন্তার এক বড় কারণ এবং মাথা ব্যথার কারণ এটাও। ফলে মনে রাখা দরকার যে সরকারি স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন কয়েক হাজার পদে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের বিনিময়ে আগামী তিরিশ বছরে যে বিপুল অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন , সেটা রাজ্যের সরকারকে জোগাড় করতে হবে এই ‘নুন আনতে পান্তা ফোরানোর’ এই সংসারেই । ফলে সরকারি চাকরি তোলা কিংবা ঘুষের বিনিময়ে বিক্রি করে যারা লুট চালালো তাঁদের সেই লুটের মাশুল ভরতোকি হিসাবে গুণতে হচ্ছে সরকারকেই সেই বেআইনি নিয়োগকে বহাল রাখতে। অর্থাৎ আম জনতার করের টাকায় দুধ ভাত খাইয়ে রক্ষা করা হবে আম জনতাকে ধোঁকা দেওয়া অযোগ্য শিক্ষকদের । এমন পুনঃ নিয়োগের ক্ষেত্রে এসএসসি ফরমান জারি করেছে নবনিযুক্ত শিক্ষক যাঁদের বিরুদ্ধে পঠন পাঠন  সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ ইতিমধ্যে জমা পড়েনি  তাঁদেরকেই অতিরিক্ত সেই সরকারি পদে নিয়োগ করা হবে। কমিশনের এমন মনোভাব তাঁদের অপরাধ প্রবণতা এবং তাকে আরাল করার অপচেষ্টার নামান্তর মাত্র, কারণ কমিশনের সৃষ্টির পর আজ অবধি স্কুলে নিযুক্ত শিক্ষকদের সম্পর্কে এমন মুল্যায়নের কোনও বিধি বন্দোবস্ত বলবৎ হয়নি । অথচ অভিযোগ থাকা না থাকাকে শিখণ্ডী করে অযোগ্যদের অতিরিক্ত পদে রেখে দেওয়ার প্রয়াস ‘দুরাত্মার ছলের অভাবের’ বেশি কিছু নয় । আর এমন ছলের দ্বারা সরকার চালিত হলে আগামী দিনে পরীক্ষার হলে টুকতে গিয়ে ধরা পড়া ছাত্রদের জন্য  ‘মানবিক’  হতে হবে প্রশাসনকে গণটোকাটুকি চালু রেখেই । মানবিক হতে হবে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে মানুষ মারার পর  চালকের নেশার অসুখ   বিবেচনা করতে, মানবিক হতে হবে ধর্ষণের শাস্তিদানে প্রশাসনকে, হাসখালির ধর্ষককে প্রেমিক বিবেচনায় রেখে অথবা ভাবতে হবে প্রশাসনকে মানবিক দৃষ্টিতে  ‘বগটুই’ এর খুনিদের  বিচারে তাঁদের রাজনৈতিক  আনুগত্য বিচার  করে । আর এর কোনটাই কি রাজ্যে সুশাসনের অনুকুল হবে ? এটাই আজ দুর্ভাবনার বিষয়, বিষয় দুশ্চিন্তারও ! 

Comments :0

Login to leave a comment