Raigunj Rape Case

ধর্ষণে গ্রেপ্তারি নেই ৯দিন পরেও, বিক্ষোভ রায়গঞ্জে

জেলা

বিশ্বনাথ সিংহ- রায়গঞ্জ

আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্য সহ গোটা দেশের মানুষ যখন বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সেই সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন রায়গঞ্জের এক মূখ ও বধির মহিলা। গ্রামের এক মূখ ও বধির মহিলাকে নির্জন এলাকায় ধর্ষণ করে এক দুষ্কৃতী। মিষ্টির দোকান থেকে বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার আছিলায় বাড়ির অদূরে নির্জন এলাকায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।  অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ কার হয়েছে তবুও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতী।  বাধ্য হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হলেন ওই নির্যাতিতা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার  রায়গঞ্জে। 
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৩ আগষ্ট মঙ্গলবার। ঘটনার সুত্রপাত, রায়গঞ্জ ব্লকের একটি গ্রামে তেলেভাজার একাটি দোকান রয়েছে ওই নির্যাতিতা দম্পতির। দোকান বন্ধ করতে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় গৃহবধূর স্বামীর বন্ধু কায়েম শেখকে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার জন্যে বলা হলে রাজি হয়ে যায়। বাইকে বসিয়ে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার আজিলায় নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মূখ ও বধির মহিলাকে জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর বিবস্ত্র অবস্থায় বাড়িতে গিয়ে সমস্ত বিষয় তাঁর স্বামীকে জানায়। নির্যাতিতাকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 
এরপর অভিযুক্ত কায়েম শেখের বিরুদ্ধে ১৭আগষ্ট রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার স্বামী। অভিযোগের চার দিন পরেও ঘটনার তদন্ত শুরু করেনি পুলিশ এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। বাধ্য হয়ে বুধবার আদালতের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। পাশাপাশি সেদিনই এসপি অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। 
এদিন ক্ষোভের সঙ্গে নির্যাতিতা দম্পতি বলেন, ‘‘বিষয়টি লিখিত আকারে পুলিশকে জানানোর পরেও কোন তদন্ত করা হয়নি। রিসিভ কপি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। মামলা হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত সহ এলাকার প্রভাবশালীরা খুনের হুমকি দেয়।’’ 
নির্যাতিতার স্বামীর বক্তব্য, ‘‘চলতি মাসের ১৩ তারিখে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ আমার স্ত্রীকে দোকান থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে পাশবিক নির্যাতন চালায় কায়েম শেখ। এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ কোন তদন্ত করেনি। উল্টে অভিযুক্ত কায়েম শেখ এলাকার শাসক দলের প্রভাবশালীরা অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য বারবার হুমকি দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে ২০ তারিখ রায়গঞ্জ জেলা আদালতের দ্বারস্থ হই। পাশাপাশি এদিন পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। সুবিচারের আশায়, অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি আমি। আমার স্ত্রী শারীরিক ভাবে অক্ষম। সেই সুযোগ নিয়ে পাশ্ববিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমি বিচার চাই।’’
এদিকে নির্যাতিতার স্বামীর সাথে কথা বলেন, সিপিআই(এম) নেতা উত্তম পাল, তীর্থ দাস, প্রদ্যোত ঘোষ। অভিযুক্তকে আড়াল করার তীব্র নিন্দা করে সিপিআই(এম) এদিন সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় পার্টি অফিসের সামনে থেকে। রায়গঞ্জ শহর ঘুরে মিছিল এসে পৌছায় রায়গঞ্জ থানার সামনে। বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পরেন সিপিআই(এম)’র কর্মী সমর্থকরা। লালঝাণ্ডার আন্দোলনের ভয়ে থানার গেট বন্ধ রাখে পুলিশ।  জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন,লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

Comments :0

Login to leave a comment