Delhi pollution

গোটা দিল্লিতে এখনও বাতাসের গুনমান ‘অত্যন্ত খারাপ’

জাতীয়

অশোক বিহার, আনন্দ বিহার সহ গোটা দিল্লির বাতাসের গুনমান অত্যন্ত খারাপ। শনিবার দিল্লির এই দুই জায়গার একিউআই ছিল যথাক্রমে ৩৮৮ এবং ৩৮৬। শুক্রবার সকালে এই দুইয়ের একিউআই ছিল ৪০৫ এবং ৪১২। শনিবার কিছুটা কম হলেও তা স্বাভাবিক নয়। 

লোধী রোড, জহরলাল নেহেরু রোডের অবস্থাও এক। শনিবার লোধী রোডের একিউআই ছিল ৩৪৯ এবং নেহেরু রোডের একিউআই ছিল ৩৬৬। দিল্লিতে এই দুষণের কারণে বহু মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সেখানকার বাসিন্দারা মাস্ক পরে রাস্তায় বেরোচ্ছে। 

দুষণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুলও বন্ধ রাখা হয় পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে। গাড়ি চলালে নিয়ন্ত্রণ এবং সব ধরনের নির্মান কাজ বন্ধ রাখার কথা ঘোষনা করা হয় কেজরিওয়াল সরকারের পক্ষ থেকে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। গত ৭ নভেম্বর পাঞ্জাব সরকার আইনজীবীর উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি শুধানশু ধুলাই এবং বিচারপতি এসকে কৌল বলেন, ‘‘আমরা চাই শস্যের গোড়া পোড়ানো বন্ধ হোক। কি ভাবে বন্ধ করতে হবে তা আমাদের জানা নেই। কিন্তু দ্রুততার সাথে এই কাজ সরকারকে বন্ধ করতে হবে।’’ দিল্লি সরকারের সমালচনা করে দুই বিচারপতি বলেন, ‘‘দিল্লিতে এমন অনেক বাস প্রতিদিন রাস্তায় নামে যার ফলে ব্যাপক দুষণ ছড়ায়। সরকারকে এই সব নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।’’

আদালেতর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে বলা হয় যে রাজস্থান, পাঞ্জাব, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানা সরকারের সাথে শস্যের গোড়া পোড়ানোর বিষয় বৈঠকে বসার জন্য। কিন্তু সেই বৈঠক একমাস হতে চললেও হয়নি। 

আদালতে মামলাকারিদের পক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন যে দিল্লি সরকার বায়ু দুষণ নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বললেও শস্যের গোড়া পোড়ানোর কাজ লাগাতার চলছে। যার ফলে দুষণের মাত্রা বাড়ছে। উল্লেখ্য ২০১৭ সাল থেকে দিল্লিতে বায়ু দুষণ সংক্রান্ত একাধিক পিটিশন সুপ্রিম কোর্টের কাছে জমা পড়েছে। আদালতের পক্ষ থেকেও বহু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই গুলো সঠিক ভাবে মানা হয়নি বলে মামলাকারিদের আইনজীবীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। 

 

Comments :0

Login to leave a comment