আলেক সেখ : পূর্বস্থলী
বর্ধমানের কালেখাঁতলে ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ২৫ বছর পরিচালনা করেছে বিজেপি। তারপর এখন ক্ষমতায় তৃণমূল। এই দুই দল দীর্ঘ ৩০ বছর এই পঞ্চায়েত পরিচালনা করলেও এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পিছিয়ে পড়া গ্রাম পঞ্চায়েতটির অবস্থান পূর্বস্থলী দুই নম্বর ব্লকে।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য তারা দুই দলকেই কাছ থেকে দেখেছেন। কোনও দলই গ্রামীণ জনজীবনের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা ভাবেনি। ফলে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে আর পাঁচটি এলাকা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। কাজ না করেই ফলক বসানো হয়। তার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ছোটেন বিডিও অফিসে। বিডিও আশ্বাস দিলেও কথা রাখেননি। গ্রামবাসীরা এই বঞ্চনার জবাব দিতে চান এবারের পাঞ্চায়েত ভোটে। সরকারি আধিকারিকদের একাংশকে নিয়ে লুট বন্ধ করতেই সতর্ক রয়েছেন গ্রামের মানুষ।
একশো দিনের কাজ, সরকারি আবাসন সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা দেদার লুট হয়েছে। ফলে গ্রামের মানুষের অভিযোগ এই পঞ্চায়েতে সরকারি টাকা সাধারণ মানুষের কোনও কাজে আসেনি।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিত্তশালী হয়েছেন। বেড়েছে তাদের সম্পত্তির বহর। এই পঞ্চায়েত এলাকার সর্বত্রই অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করতে পারেনি শাসক দল। প্রকৃত প্রাপকদের হাতে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়েছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। দলীয় শাসক কায়েম করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই পঞ্চায়েত এলাকায় সিপিআই(এম)’র প্রচারে দুই দলের পঞ্চায়েত পরিচালনায় সার্বিক ব্যর্থতার কথাই উঠে এসেছে। সোমবার চাপাতলা ও বিশ্বরম্ভা বুথে বাড়ি বাড়ি প্রচার কর্মসূচি নিয়েছিলেন সিপিআই(এম) প্রার্থীরা। তাঁদের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
কৃষকদের প্রকল্পগুলিও এখানকার বেশিরভাগ কৃষকের কাছে পৌঁছায়নি। অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। খেতমজুরদের কাজ কমেছে।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় ১৯ মাস একশো দিনের কাজ বন্ধ। বকেয়া মজুরি পাননি তাঁরা। এই অবস্থার জন্য সমানভাবে দায়ী কেন্দ্রের বিজেপি এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকার।
১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ টাকা লুট হয়েছে। অভিযুক্তদের নাম মানুষের মুখে ঘোরাফেরা করলেও তারা শাস্তি পাননি। সাধারণ মানুষকেই শাস্তি পেতে হয়েছে। ছোট ছোট সভায় গ্রামের মানুষই জোরালোভাবে জানাচ্ছেন এবার তাঁরা বামপন্থীদেরই ভোট দেবেন।
Comments :0