Drinking Water in Siliguri

তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট শিলিগুড়িতে, নেতারা হাজির ধর্মতলায়

জেলা

Drinking Water in Siliguri


শিলিগুড়িতে নতুন পানীয় জল প্রকল্পের দেখা নেই। সমগ্র শিলিগুড়ি শহর জুড়ে পানীয় জলের জন্য হাহাকার অবস্থা। পানীয় জল যন্ত্রনায় জর্জরিত শিলিগুড়ি শহরবাসী। কিন্তু সমাধানের কোন উদ্যোগ নেই বর্তমান তৃণমূল বোর্ডের। গোটা শিলিগুড়িবাসীর সমস্যার কথা জনাতে ‘গণকন্ঠ শিলিগুড়ি’ নামের ৮৯৪৫৯৮৪৩১০ নম্বরে নতুন হোয়াস্‌অ্যাপ পরিষেবা ও একই সঙ্গে ganakantha.siliguri@gmail.com ই-মেইল নম্বরও চালু করা হয়েছিলো বামপন্থী কাউন্সিলারদের পক্ষ থেকে। সেখানেও পানীয় জল নিয়ে প্রতিদিন সাধারন মানুষের কাছ থেকে অজস্র অভিযোগ মিলছে। শহরের পানীয় জল সরবরাহের বেহাল অবস্থা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্পোরেশনের কমিশনারের সাথে দেখা করলেন সিপিআই(এম)’র তিন কাউন্সিলাররা মুন্সি নুরুল ইসলাম, মৌসুমী হাজরা ও দীপ্ত কর্মকার।

পৌর কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড জুড়েই প্রয়োজন অনুযায়ী পানীয় জল সরবরাহ করতে পারছে না কর্পোরেশন। কোথাও সময় মতো জল আসছে না। আবার কোথাও জল আসলেও সময়ের আগেই জল চলে যাচ্ছে। কোথাও কোথায় কল দিয়ে সুতোর মতো জল বের হচ্ছে। আবার কোথাও ঘোলা জল। কখনও কখনও ওয়ার্ডগুলি নির্জলা থাকছে। এই পরিস্থিতিতে তীব্র গরমে পানীয় জলের জন্য শহর জুড়ে হাহাকার অবস্থা। সমস্যা দীর্ঘদিনের। পানীয় জলের অভাবে শহরবাসীদের কষ্টে ভুগতে হচ্ছে। তবে গত দিন পনের থেকে এই জল সঙ্কট আরো তীব্র আকার নিয়েছে। অভিযোগ, গোটা শহর জুড়ে পানীয় জল সঙ্কট দেখা দিলেও কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ নিজেদের পছন্দ মতো বেছে বেছে কিছু ওয়ার্ডে জলের ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে। বিরোধী কাউন্সিলারদের কোন সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। বিকল্প কোন ব্যবস্থাও নেই। বিগত বাম বোর্ডের পাইপ লাইন জনিত সমস্যার কারণে শহরে জল বন্ধ থাকলে শহরবাসীদের আগাম জানানো হতো। সময় মতো প্রয়োজনীয় জলের পাউচ পৌঁছে দেওয়া হতো মানুষের দরবারে। প্রয়োজনে জলের ট্যাঙ্কও পাঠানো হতো। বর্তমান বোর্ডের উন্নয়ন স্তব্ধতার পাশাপাশি পানীয় জল নিয়ে অব্যবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অতীতে এই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। 


সিপিআই(এম) কাউন্সিলার মুন্সী নুরুল ইসলাম এদিন বলেন, গণকন্ঠ রয়েছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের অভিযোগের কথা শোনার মতো গোটা শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনে কেউ নেই। শহর ভয়ঙ্কর জল সঙ্কটের মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে শহরবাসীদের পানীয় জল সঙ্কটের মুখে ফেলে রেখে কর্পোরেশনের কর্তৃপক্ষ চলে গেছে কলকাতা। গত ১৫দিন ধরে এই পরিস্থিতি চলছে। কিন্তু এক্ষেত্রে কর্পোরেশনের তরফে কোনরকম পাবলিক নোটিফিকেশন করা হয়নি। ফলে মানুষ জানতে পারছে না কোন সমস্যার কারনে পানীয় জল সঙ্কটে ভুগছেন তারা। অথচ এই তৃণমূলীরাই পিএইচই—র জন্যে শহরে একদিন জল ছিলো না বলে অশোক ভট্টাচার্য মেয়র থাকাকালীন সময়ে মেয়রের গাড়ি আটকে রেখেছিলো। তিনি বলেন, পরিশ্রুত পানীয় জল নিয়ে আমরা কোন রাজনীতি করতে চাই না। মানুষ দিনের পর দিন জল পাচ্ছে না। মানুষের কথা শোনার মতো কেউ নেই। প্রকৃত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে ভয় পাচ্ছে বর্তমান তৃণমূলী বোর্ড। শিলিগুড়ি পৌর এলাকায় সৃষ্ট জলসঙ্কট ও সমাধান প্রসঙ্গে কমিশনারও সদুত্তর দিতে পারছেন না।

 

Comments :0

Login to leave a comment