শুধু অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নয়। তার থেকেও বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল দিল্লি বিস্ফোরণ ঘটনায়। ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির পরীক্ষা উঠে এলো এমনই তথ্য। সোমবার সন্ধ্যায় লাল কেল্লার সামনে বিস্ফোরণের ঘটনার পর সেখান থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায় এখনও পর্যন্ত তাদের পরীক্ষা শেষ হয়নি। গোটা প্রক্রিয়া শেষ হলেই তারা স্পষ্ট ভাবে জানাতে পারবেন কত শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল।
সোমবার সন্ধ্যা ৬:৫২ টার দিকে লাল কেল্লা মেট্রোর সামনে বিস্ফোরণ ঘটে। লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে একটি ধীরগতির হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে ঘটে এই বিস্ফোরণ। ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়।
মাওলানা আজাদ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের মতে, নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরে ক্রস-ইনজুরি প্যাটার্ন দেখা গেছে। ক্রস-ইনজুরি প্যাটার্নের অর্থ হল বিস্ফোরণের আঘাতে মানুষ দেয়াল বা মাটিতে ধাক্কা খেয়েছে। এর ফলে অনেকের দেহের হাড় ভেঙে গেছে এবং মাথায় আঘাত লেগেছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
ফরেনসিক রিপোর্ট অনুসারে, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কিছু ব্যক্তির ফুসফুস, কান এবং পেটে আগাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
প্রাথমিক তদন্তের অনুমান বিস্ফোরণে নতুন বা পরিবর্তিত বিস্ফোরক পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, হরিয়ানা পুলিশের সাথে মিলে সোমবার একটি "হোয়াইট-কলার" সন্ত্রাসবাদী মডিউলের সন্ধান পায় এবং সন্দেহভাজন উমর মহম্মদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মুজাম্মিল শাকিল এবং আদিল আহমেদ রাথেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক এবং অ্যাসল্ট রাইফেল এবং পিস্তলের মতো অস্ত্রও উদ্ধার করে।
Delhi Blast
দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছে নাইট্রেটের থেকেও বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক
×
Comments :0