India Bangladesh Trade

কারফিউ শিথিল বাংলাদেশে , ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু

জাতীয় আন্তর্জাতিক

তিনদিন পর চালু হলো ভারত বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য। খুলেছে সব ধরনের অফিস। বুধবার সকাল থেকেই ভারত থেকে পণ্য বোঝাই ট্রাক ঢুকেছে বাংলাদেশে। কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে ফের ভারত-বাংলাদেশ ও ভুটান-বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্য পুনরায় শুরু হল। এদিন সকাল থেকে দেশে স্বাভাবিক জনজীবনের অনেকটাই ফিরেছে। কারফিউ শিথিল হতে ঘরবন্দি মানুষ পথে বেরিয়ে পড়েছেন। শহরে সেনা, আধা সেনা এবং পুলিশের টহল জারি রয়েছে। হাট-বাজর-অফিসে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। চেনা ছবি ফিরে এসেছে রাজধানীতে। তবে কোটা আন্দোলন ঘিরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শুক্রবার মধ্যরাতে বাংলাদেশে যে কারফিউ জারি করা হয়েছে, তার মেয়াদ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে দুপুর ১০টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত শিথিল থাকবে। এই সময়ে সেনা মোতায়েন থাকবে। 
গত কয়েক ছাত্র আন্দোলনের জেরে কার্ফুর কারণে কাজে যোগ দিতে পারেননি মানুষ। অবশেষে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে বাংলাদেশে। তিন দিন পর বুধবার খুলেছে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। বাংলাদেশের রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, বনানী, তেজগাঁও, মহাখালীসহ বিভিন্ন রাস্তায় যানজটের কারণে বিপাকে পড়েছেন অফিস যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।
মানুষ বলছেন, আন্দোলনের নামে গত কয়েকদিন রাজধানীতে যে দৃশ্য দেখা গিয়েছিল তা ভয়ঙ্কর। মানুষ ঘর থেকে রাস্তায় বের হতে ভয় পাচ্ছিলেন। টানা পাঁচদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার রাতে আবার চালু হয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার নতুন করে কোথাও কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি বলে খবর। তবে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত। গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ১ হাজার ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্তত ৫১৭ জনকে।
ইতিমধ্যেই কোটা সংস্কার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকার। তার রায় আগেই দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার কারফিউ বহাল থাকবে এবং এই দুদিন অফিস খোলা থাকবে। কোটা আন্দোলনের মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত দেড়শো মানুষের মৃত্যু, কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে সারাদেশে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। 
বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পেট্রাপোল সীমান্তসহ রাজ্যের একাধিক সীমান্ত দিয়ে কয়েকদিন বাণিজ্য বন্ধ ছিল। ওদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় কোনো পণ্য বোঝাই ট্রাক ভারত থেকে ওদেশে যেতে পারেনি। পেট্রাপোল সীমান্তে শ’য়ে শ’য়ে পণ্য বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। বাংলাদেশ কিছুটা শান্ত হওয়ায় বাণিজ্য মহলে স্বস্তি এসেছে। এদিন বাংলাদেশে পণ্য রফতানির কাজ শুরু হওয়াতে খুশি ব্যবসায়ী মহল।

Comments :0

Login to leave a comment