একদিকে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ধান সবজি চাষের জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি। অপর দিকে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, সাঁকরাইল, মানিকপাড়া সহ একাধিক ব্লকে আড়াইশোর বেশি হাতির তান্ডবে সবজি, কচি ধান সহ চাষের জমিতে ব্যাপক ক্ষতি। কৃষকরা সর্বশান্ত। হাতির তান্ডব চললেও বনদপ্তর ও প্রশাসন নীরব।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বক্তব্য সাধারণত এই সময় জঙ্গলের খাবার খেয়ে শান্ত থাকতো। ধানের থোড় বা শীষ ধরলে বা ধান পাকার সময় হাতির পাল চাষের জমিতে নামতো। এখন কচি ধান গাছও খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে। এক একটি দলে একাধিক শাবক সহ ২২-৩০ টি করে হাতির পাল চাষের জমি, সবজির জমিতে নেমে ফসলের ক্ষতি করছে। আগে বনদপ্তরের লোকজন এসে ক্ষতিগ্রস্ত জমি গুলি পরিদর্শন করে ক্ষতিপূরণের ফর্ম দিয়ে আমাদের সই করিয়ে নিয়ে যেতেন। এখন হাতি তাড়ানো তো দূরের কথা ক্ষতিপূরণের সেই ফর্মও পূরণ করায় না।
পাথরা এলাকার অঙ্গারনালি মৌজায় ধানের জমিতে হাতির পাল
খরস্রোতা সুবর্ণরেখার নদী পাড়ের পাথরা মৌজায় ঘনজঙ্গলে শতাধিক হাতির পাল আশ্রয় নিয়ে রয়েছে।(দেখুন ভিডিও) সঙ্গে একাধিক শাবক থাকায় সেখান থেকে নড়ছে না। গত এক সপ্তাহ সময় ধরে পাথরা, অঙ্গারনালি সহ পাশাপাশি মৌজায় হাতির পালের তান্ডবে সবজি সহ ধান জমির ফসল নষ্ট করে কৃষকদের সর্বশান্ত করার ঘটনা ঘটছে। কৃষকরা বাধ্য হয়ে বোম ফাটিয়ে হাতি তাড়ালে খরস্রোতা সুবর্ণরেখা নদী সাঁতরিয়ে ওপর দিকে মানিকপাড়া এলাকার জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে হাতির দল। আবার ওখানকার কৃষকদের তাড়া খেয়ে আবারো নদী সাঁতরে সাঁকারাইল এলাকায় আশ্রয় নিচ্ছে। ফলে কৃষকদের ফসল এবছর আর ঘরে উঠবে কিনা সন্দেহ। ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে। ব্লক প্রশাসন ও বীট দপ্তরে কৃষকরা লিখিত দাবি জানিয়েছেন বলে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সুমন জানা, মন্মথ মাহাত, সদেশ সাউ সহ প্রমুখরা।
Comments :0