Delhi

প্রশাসনের লোক না হয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত রেখার স্বামী, সমালোচনা দিল্লিতে

জাতীয়

প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পাশে বসে রয়েছেন তার স্বামী। ছবি সমাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হতেই দিল্লির বিজেপি সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তকে নিশানা করেছে বিরোধী আপ।

আপের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত ওয়েব সিরিজের উপমা টেনে রেখাকে আক্রমণ করা হয়েছে। আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ এক্সহ্যান্ডেলে লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত প্রশাসনিক বৈঠকে নিজের স্বামীকে পাশে বসিয়ে অসাংবিধানিক কাজ করেছেন। ফুলেরা পঞ্চায়ের ওবেব সিরিজে দেখা গিয়েছে বউ পঞ্চায়েত প্রধান কিন্তু স্বামী তার নাম নিয়ে সব কাজ সামলাচ্ছেন। সংবিধান রেখা গুপ্তকে অধিকার দেয়নি স্বামীকে পাশে বসিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক করার। আপ নেতা দাবি করেছেন তাদের কাছে একাধিক ভিডিও আছে যেখানে দেখা যাচ্ছে রেখার স্বামী প্রশাসনিক শীর্ষ আমলাদের বিভিন্ন বিষয় নির্দেশ দিচ্ছেন এবং বৈঠক পরিচালনা করছেন।

উল্লেখ্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর স্বামী বিধায়ক, মন্ত্রী বা আমলা নন। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি কি ভাবে প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। 

বিরোধীদের সংবিধানের পাঠ দেওয়া বিজেপির পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোন সমালোচনা করা হয়নি। উল্টে মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাদের। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য দাবি করেছেন, রেখা তার বিধানসভা এলাকার বিষয় নিয়ে আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করছিলেন। তার হয়ে তার স্বামী যেহেতু ওই এলাকার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নজর রাখেন তাই তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এখানেও প্রশ্ন থাকছে দিল্লির শালিমার বাগের মানুষ রেখা গুপ্তকে নির্বাচিত করেছিলেন তার স্বামী মনীশ গুপ্তকে নয়। বিধায়কের হয়ে তিনি এলাকা দেখলেও প্রশাসনিক বৈঠকে কেন তিনি থাকবেন? এর উত্তর না দিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে নিশানা করা হয়েছে আপকে।

বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি বলা হয়েছে কেজরিওয়াল জেলে থাকার সময় তার স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসে কাজ চালিয়ে ছিলেন যা সম্পূর্ন ভাবে অনৈতিক।

 

মন্তব্যসমূহ :0

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন