সম লিঙ্গে বিবাহের আইনি বৈধতা সংক্রান্ত মামলার শুনানী সম্পূর্ণ। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আালতে সরকার পক্ষ ও এবং আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবীর দীর্ঘ সওয়াল জবাব শোনে সু্প্রিমকোর্ট। আগামী ১৩ এপ্রিল পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণা করবে। এদিন বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায় আদালত যে সিদ্ধান্তই নেবে তার ব্যপক প্রভাব পড়বে সমাজে। সেই কারণেই বিষয়টিকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
১৩ এপ্রিল রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচারিত হবে সু্প্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে এবং ইউটিউব চ্যানেলেও। এদিন আদালতে হিন্দু বিবাহ আইন ও স্পেশাল বিবাহ আইন নিয়ে দীর্ঘ সওয়াল জবাব হয়। আইনজীবী নিরজ কিশান কৌল আদালতে দাবি করেন বিশেষ বিবাহ আইনে সম লিঙ্গে বিবাহ স্বীকৃত। আইনজীবীর দাবি ওই আইনের সেকশন ৫’এ অনুযায়ী ‘দুজন প্রাপ্ত বয়ষ্কের মধ্যে বিবাহকে আইনত স্বীকৃতি দেওয়া হয়’, সেখানে নির্দিষ্ট কোন লিঙ্গের উল্লেখ নেই।
বর্ষিয়ান আইনজীবী মানেকা গুরুরস্বামীও পাল্টা দাবি করেছেন হিন্দু বিবাহ আইনেও সেরকম ভাবে কোনও লিঙ্গের উল্লেখ করা হয়নি। সুতরাং হিন্দু বিবাহ আইনেও সম লিঙ্গে বিবাহ বৈধতা পায়। হি্দন্দু বিবাহ আইনের সেকশন ৫ অনুযায়ী ‘যেকোনও দুই হিন্দু যুগল’ নিজেদের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। বি আর আম্বেদকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন এই সেকশনের ভিত্তিতেই হিন্দু কোড বিল তৈরি হয়েছিল। তার মাধ্যমেই হিন্দু ধর্মের বিষম বর্ণে বিবাহ ও সম গোত্রে বিবাহও আইনি স্বিকৃতি পায়।
যদিও সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা সমলিঙ্গে বিবাহের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করেন। তার দাবি সমলিঙ্গ বিবাহ ভারতীয় সংস্কৃতি ও পারিবারিক প্রথার পরিপন্থী। ভারতে শারীরিক ভাবে পুরুষ ও শারীরিক ভাবে মহিলার বিবাহকেই মান্যতা দেওয়া হয়। অন্যান্য আইনজীবীরাও তাদের পক্ষে সওয়াল করেন। তবে সম লিঙ্গে বিবাহ কি আইনি বৈধতা পাবে কি পাবে না তা নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে ১৩ এপ্রিল।
Comments :0