Bangladesh

আলোচনার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দাবি বাংলাদেশের বামপন্থীদের

আন্তর্জাতিক

গণতান্ত্রিক ছাত্র ও রাজনৈতিক শক্তির সাথে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। বাংলাদেশের বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চার যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি তোলা হয়েছে। 
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার কিছু পরে ঢাকায় বৈঠক করে বামপন্থী দলগুলি। পরে বিবৃতিও দেওয়া হয়।  
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘অবিলম্বে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদ সহ আন্দোলনকারী সকল গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সহ আন্দোলনকারী সকল গণতান্ত্রিক ছাত্র ও রাজনৈতিক শক্তির সাথে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়েছে।’’
এদিন সভায় বলা হয়েছে পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বাংলাদেশে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সহ জনগণের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা রক্ষায় ভূমিকা নিতে সচেতন দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। 
রাতে ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চারবার হামলা। সব লুটপাট হয়েছে। ভাঙচুর। জানালেন পার্টি নেতা কামরুল আহসান।
এদিন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন যে চব্বিশ থেকে আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হবে। সেই লক্ষ্যে আলোচনা চলছে। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি হত্যার বিচার হবে।  তাঁর সঙ্গে বৈঠকে ছিল বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং জামাত ই ইসলামি। অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ১৮ জনের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন অংশের মতামতের ভিত্তিতে এই নাম এসেছে বলে জানা গিয়েছে। 
বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বানে বলা হয়েছে, ‘‘স্থানীয় জনগণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় এবং পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন করতে উদ্যোগী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। 
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘‘আমি মনে করি এই ঘটনার পিছনে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সাধারণ নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে মডেলের কথা বলেছিল সেই মডেল কার্যকর করেছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, জামাত এবং বিএনপি।’’
শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি তুলে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। যার শুরু জুনে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে। পরে সুপ্রিম কোর্ট সংরক্ষণ বাতিল করলেও হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। শতাধিক মানুষ নিহত হন এই দফায়। সোমবার বেলা ২:৩০ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তারপরই ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি রওনা দেন। রাতে জানা গিয়েছে ভারতেই রয়েছেন তিনি। উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে হিন্দোন বিমানঘাঁটিতে জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক হয়েছে।
হাসিনার পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের দখল নেয় আন্দোলনকারীরা। লুটপাট করা হয় গণভবনে। হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি। 
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর আওয়ামী লিগের বিভিন্ন দপ্তরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment