২০১১ সালে রাজ্যের রাজনৈতিক পালা বদলের পর থেকেই শহর সংলগ্ন অরবিন্দ অঞ্চল এলাকায় তিস্তা কোল্ড স্টোরেজে সিআইটিইউ অনুমোদিত কোল্ড স্টোরেজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ভাঙার চেষ্টা করে আসছে তৃণমূল। ধারাবাহিক ভাবে সিআইটিইউ-কে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে বহিরাগতদের সঙ্গে এনে কোল্ড স্টোরেজের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াস লাগাতার চালিয়ে যাচ্ছো।
গত ১৩ জুন ২০২৪ তিস্তা কোল্ড স্টোরেজে আক্রমণ করে তৃণমূলের আইএনটিটিইউসি। প্রচুর বহিরাগত লোকজন নিয়ে অরবিন্দ অঞ্চলের বর্তমান ও পূর্বতন উপপ্রধানের নেতৃত্বে, যারা বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ দখল করেছিল, সেই দুষ্কৃতী বাহিনী নিয়ে তিস্তা কোল্ড স্টোরেজের মালিককে চাপ দিতে থাকে। তাদের তালিকা থেকে শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে। কর্মরতদের বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কোল্ড স্টোরেজের শ্রমিকরাও। এই আক্রমণ প্রতিহত করেন তাঁরা।
শ্রমিকদের সঙ্গে না পেরে থানায় চার শ্রমিকের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে তৃণমূল। পুলিশের ওপর চাপ তৈরি করে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে। কোল্ড স্টোরেজের শ্রমিকরা জানান দেয় যদি নিরাপরাধ কোল্ড স্টোরেজ শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে সব কোল্ড স্টোরেজে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। এর পর পুলিশ আর তৃণমূলের নেতাদের কথায় বেশি দূর এগোয়নি। তবে শ্রমিকদের মামলা এসডিও আদালতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। নিরপরাধ শ্রমিকদের নামে ১০৭ ধারায় মামলা ছিল। বুধবার এসডিও আদালতে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি মিলেছে শ্রমিকদের। সিআইটিইউ’র চার সদস্যে জগদীশ রায়, জীতেন রায়, দীপঙ্কর রায়, টোটোন রায় বুধবার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান। আদালতে শ্রমিকদের সাথে ছিলেন সিআইটিইউ নেতা কৃষ্ণ সেন, নরেশ শর্মা, রথীন্দ্র রায়, পার্বতী রায়, ববি রায় প্রমুখ।
কৃষ্ণ সেন বলেন, ‘‘যে দৃঢ়তা নিয়ে শ্রমিকরা লড়াই করেছে তা অভিনন্দন যোগ্য। পাশাপাশি সমস্ত কোল্ড স্টোরেজের শ্রমিকরা যেভাবে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত শ্রমিকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তা আবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।’’ শ্রমিকরাও বলেন যে কোনো আক্রমণ যা আমাদের জীবন জীবিকাকে আঘাত হানবে, তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই চলবে সিআইটিইউ’র নেতৃত্বে।
Comments :0