Comrade Harekrishna Samanta

কমরেড হরেকৃষ্ণ সামন্ত প্রয়াত

রাজ্য

Comrade Harekrishna Samanta

 

প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা কমরেড হরেকৃষ্ণ সামন্ত প্রয়াত হলেন শনিবার রাতে। বয়স হয়েছিলো ৮২। মৃত্যুর সংবাদে সবং এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া। মৃত্যুর খবর পেয়ে গভীর শোক জ্ঞাপন ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সিপিআিই (এম) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ সহ প্রাক্তন দুই জেলা সম্পাদক দীপক সরকার ও তরুণ রায়। 
কমরেড হরেকৃষ্ণ সামন্ত শনিবার ভোর রাতে নিজের বাড়িতে অসুস্থ বোধ করেন। দীর্ঘদিন তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে শারীরিক অবস্থার আরো  অবনতি হওয়ায় কোলাঘাটের আগেই মেছোগ্রাম মোড়ে এক বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসায় সাড়া দিলেও বিকাল পাঁচটায় দ্বিতীয় বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর রাত ৮টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 
কমরেড সামন্ত অর্থশাস্ত্র নিয়ে পড়ার সময় ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বামপন্থী আন্দোলনে সামিল হন। পেশায় শিক্ষকতা করতেন। সবং জুড়ে শিক্ষক হিসাবে পরিচিতি এবং কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব হয়ে ওঠেন। সবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৮৩-৮৮ সাল পর্যন্ত।  পরবর্তী কালে জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসাবে  দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৩-৯৮। 
সিপিআই(এম)-এর জেলা কমিটির সদস্য সহ সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যর দায়িত্ব পালন এবং রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন। সারা ভারত কৃষক সভার সংগঠনের জেলা সম্পাদক ছিলেন।
অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় কৃষক আন্দোলন ও পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামীণ বিকাশ, বিকেন্দ্রীভূত পরিকল্পনা, গ্রামসভায় নীরব অংশের মানুষের সমস্যা যাতে অগ্রাধিকার পায়, বড়ো জলাশয় তৈরি করে মাছ চাষ ও কৃষিকাজে জলের ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছিলেন। স্বশাসিত মেদিনীপুর পরিকল্পনা পরিষদ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। 
এদিন রাতে পার্টির জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ জানান, রবিবার  সকাল ৯ টায় জেলা পার্টি দপ্তরে হরেকৃষ্ণ সামন্তের মরদেহ পৌঁছাবে। এখানে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাঁর দেহ দান করা হবে।
 

Comments :0

Login to leave a comment