দমদমের বেদিয়াপাড়ায় এক ব্যক্তিকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করে সিপিআইএম। এলাকায় গুন্ডারাজের অবসানের জন্য সোচ্চার হয়েছে তাঁরা। শুক্রবার এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলও সংগঠিত করা হয়। এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক পলাশ দাস, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য দেবশঙ্কর রায়চৌধুরী, সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য ময়ূখ বিশ্বাস, সিপিআই(এম) নেতা কলতান দাসগুপ্ত সহ নেতৃবৃন্দ।
দ্বগ্ধ অবস্থায় রঞ্জিত কর্মকার বর্তমানে আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর দেহের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে দমদমের বেদিয়াপাড়ায় তারকনাথ কলোনিতে রঞ্জিত কর্মকারকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। প্রতিমা বিসর্জনের পর বাইকে তেল ভরা নিয়ে বচসা হয়। পেট্রোল ঢেলে দ্বগ্ধ করার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগের তীর দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ‘ঘনিষ্ঠ’ সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুশান্ত দাস এবং তাঁর সহকারীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল কাউন্সিলর মৃন্ময় দাস জানিয়েছেন যে কালী পুজোর ভাসান দোয়া ফেরার সময় গাড়ির তে শেষ হয়ে যায়। অন্য গাড়ি থেকে তেল দেওয়ার সময় সিগারেটের আগুন থেকে তাঁর পিঠে আগুন লেগে যায়। 'রসিকতার ছলে' বলে জানিয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর।
সিপিআইএম জানিয়েছে আগুনে দগ্ধ রঞ্জিত কর্মকারের স্ত্রী পার্টি সদস্য। যদিও রঞ্জিত কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে দুষ্কৃতীমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গের যারা যুক্ত তারা সবাই তৃণমূল বা তৃণমূলের ছত্রছায়ায় রয়েছে। শাসক দল ও প্রশাসন তাদের মদত দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। গুন্ডারাজের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি।"
Comments :0