চিকিৎসকদের মতে শেষ কয়েক বছরে হামের প্রতিষেধক নেওয়ার সংখ্যা কমেছে। যার জন্য শিশুদের শরীরে কমেছে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। হামের প্রতিষেধকের ক্ষেত্রে দু’টি ডোজ দেওয়া হয় শিশুদের। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৮ সালে দেশে হামের টিকা নেওয়ার পরিসংখ্যান ছিল ১০০ শতাংশ। ২০২০ সালে তা নেমে আসে ৮৮ শতাংশে। ২০২১ সালে গোটা দেশে ২৫.৬ কোটি শিশু হামের প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ নেয়। ২০১৮-২০ সালে সেই সংখ্যা ছিল ২৭ কোটির বেশি।
কিন্তু কেন হঠাৎ করে টিকা নেওয়া সংখ্যা কমছে তার কোন ব্যাখ্যা সরকারের কাছে নেই। গোটা দেশে যখন হামের প্রভাব বাড়ছে তখন তার জন্য বিশেষ টিকাকরণের কেন পদক্ষেপও এখনও পর্যন্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। হাম এবং রুবেলা প্রতিরোধী টিকা এমআরসিভি দেওয়া হয় শিশুদের।
কেরালা সরকার টিকাকরণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কেরালার মালাপুরামে ১৪০ জন শিশু ইতিমধ্যে হামে আক্রান্ত হয়েছে। এই সংখ্যা যাতে কোন ভাবে আর না বাড়ে তার জন্য বিশেষ টিকারণ অভিযান শুরু করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে যে আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলার সব শিশুকে হামের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হবে।
সাধারণত হামের প্রথম ডোজ দেওয়া হয় ৯-১২ মাস বয়সী শিশুদের, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয় ১৬-২৪ মাস বয়সীদের। বৃহণ্মুম্বাই কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে হাম ছড়িয়েছে যে যে এলাকায় সেখানে টিকাকরণের হার কম।
উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে টিকাকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
Comments :0