আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি। ১৯৯২ সালের আজকের দিনে এমআরএফকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। ফেডারেশন কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ইস্টবেঙ্গল দলের ফুটবলার কুলজিত এই দিন প্রচুর গোল মিস করেছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের তৎকালীন প্রাণভোমরা কৃষানূকে এদিন খেলতে দেয়নি এমআরএফ। দলের মাঝমাঠের খেলোয়াড় অ্যান্টনি ফার্নান্ডেজকে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল কৃষাণুর সঙ্গে। ফলে সাইডলাইনের দিকে ক্রমশই সরে আসছিলেন তিনি। আর সেই ফাঁকা জায়গা কাজে লাগিয়েই গোল করেন কুলজিৎ। প্রথম গোলটি করেছিলেন প্রশান্ত ব্যানার্জি। ৩-০ গোলে সেই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল।
এইসব ফেলে আসা স্মৃতিই এখন সম্বল ইস্টবেঙ্গলের জন্য। বর্তমানে অপেশাদারিত্বের কারণে সবদিকে থেকেই পিছিয়ে পড়ছে তারা। ক্লাবকর্মকর্তাদের অতিরিক্ত কচকচানিতে স্বাধীনতা পাচ্ছেননা বিনিয়োগকারী সংস্থা। স্পেনের এজেন্ট মারফত নিম্নমানের বিদেশি থেকে শুরু করে অ কারিগরি ব্যক্তির দলের ব্যাপারে নাক গলানো । এইসব ব্যাপারেই যেন ক্লাব রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন সমর্থকরা। গতকাল ক্লাবের অফিসিয়াল পেজ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে ম্যানেজমেন্টের বাস্তুতন্ত্রের সাথে যুক্ত যে কোনো কাউকেই ব্যক্তিআক্রমণ করা যাবেনা। অর্থাৎ ঘুরিয়ে সমর্থকদের প্রতিবাদের মুখ বন্ধ করার প্রচেষ্টায় ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু মানুষ থেকে ভগবানের পর্যায়ে তুলে দেওয়া সেই সমর্থকরাই যখন ঘুরে দাঁড়ায় তখন কিন্তু বিপ্লব হয়।
Comments :0