পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ গুড়াপে। অভিযুক্ত গ্রেপ্তার। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,  রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ শিশুকে দেখতে না পেয়ে  খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার প্রতিবেশীর বাড়িতে ওই নাবালিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গুড়াপ থানায় খবর যায়। গুরাপ থানার পুলিশ গ্রামে পৌঁছায়। শিশুটিকে ধনিয়াখালি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় উত্তেজিত গ্রাম বাসীরা অভিযুক্তকে মারধোর করে। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেশী অশোক সিং’র বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে এই মামলার তদন্তভার সার্কেল ইন্সপেক্টর ধনিয়াখালির উপর দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে গুরাপ থানা গ্রেপ্তার করেছে তাকে সোমবার চুঁচুড়া আদালতে  পুলিশ রিমান্ড চেয়ে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি(ডিএন্ডটি)প্রিয়ব্রত বক্সি। 
ঘটনার পর হুগলি জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সরকার এবং অন্যান্য পদস্থ অফিসারা ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় মানুষজন এবং নাবালিকার পরিবারের  সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সুপার এই মামলার তদন্তের সহায়তার জন্য হুগলি জেলার অভিজ্ঞ অফিসারদের নিয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ার নির্দেশ দেন। 
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ  তদন্তের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে এই নারকীয় ঘটনায় দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে  সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।
শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, মেয়ে মাংস খেতে চেয়েছিল। বাজারে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে দেখি মেয়ে নেই। খুঁজতে গিয়ে দেখি প্রতিবেশীর বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে মেয়ে। দোষীর সর্বচ্চ শাস্তি চেয়েছেন তিনি।
প্রতিবেশিরা জানিয়েছে অভিযুক্তের স্বভাব ভালো ছিল না।এর আগেও নানা অভিযোগ উঠেছে ওর বিরুদ্ধে।
হুগলী জেলা গ্ৰামীন পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পক্সো আইনে ৬-১ ধারা, বি এন এস ১০৩/১ ও বি এন এস ৬এল ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। 
ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্ত করা হবে এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঘটনায় ডিএসপি ডিএনটি প্রিয়ব্রত বক্সির নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়না তদন্তের জন্য চুঁচুড়া হাসপাতাল থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মৃতদেহ। অভিযুক্তকে সোমবার আদালতে পেশ করা হয়নি, মেডিকেলি আনফিট থাকায় এই খবর পাওয়া গেছে পুলিশ সূত্রে।