Load Shedding

গভীর রাতেও লোডশেডিংতে হাঁসফাঁস বিভিন্ন এলাকার মানুষের

রাজ্য

Load shedding

ঝড়- বৃষ্টি হোক বা না হোক, লোডশেডিং এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বর্তমানে তীব্র গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং-এর তীব্রতা। দিন নেই রাত নেই যখন তখন লোডশেডিং। একদিকে তীব্র গরমে মানুষের জীবন এখন ওষ্ঠাগত। তার উপর ঘন ঘন লোডশেডিং মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এমন কোনোদিন নেই যেদিন লোডশেডিং হয়নি। বুধবার গভীর রাতেও লোডশেডিংতে দুর্ভোগ হাওড়া গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার মানুষের। গভীর রাতেও বিদ্যুৎ ছিল না হাওড়ার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাতে। অত্যধিক গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। শ্যামপুর, বাগনান, উলুবেড়িয়া, পাঁচলা সহ বিভিন্ন এলাকাতেই লোডশেডিং এর খবর পাওয়া গেছে। উলুবেড়িয়া শহরেই রয়েছে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ আণ্ড হাসপাতাল সহ বিভিন্ন নার্সিং হোম। রাতে লোডশেডিং এর ঘটনার প্রতাবাদে সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেন বিভিন্ন এলাকার যুবক-যুবতীরা।  রাত ১১ টার পর থেকে গভীর রাত ১২-২৫ পর্যন্ত  লোডশেডিং -এর পর অবশ্য ইলেকট্রিক আসায় স্বস্তিতে মানুষজন। গভীর রাতেও বেশ কিছু এলাকাতে ইলেকট্রিক এসেও বারে বারে চলে যাওয়ায় ঘুম ছুটেছে সাধারণ মানুষের।  

 

তবে রাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লোডশেডিং হওয়া নিয়ে ফেসবুকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিদ্রুপ ও শ্লেষ মেশানো নিজেদের  প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুবক-যুবতীরা।
নিজেদের প্রতিক্রিয়াতে যুবক-যুবতীরা রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিদ্রুপ করে বলেছেন, "পৌরসভার দুর্নীতির কাগজ লোপাটের জন্যই  কি লোডশেডিং??
ঝড় জল কিছুই নেই লোডশেডিং কেন?" আবার কেউ কাজ সেরে বাড়ি ফিরে লিখেছেন, "পৌরসভার দুর্নীতির কাগজ পত্র লোপাটের জন্য না হয় লোডশেডিং ।। পঞ্চায়েত এলাকায় লোডশেডিং কী কারণে ?" শ্যামপুরের এক যুবক বিদ্রুপ করে লিখেছেন,  "রাত্রি ১১:৩৫ ইলেকট্রিক নেই, সামনে দূর্গাপূজা তাই অগ্রিম নাইট করে কাজ চলছে ইলেকট্রিক লাইনে।" পাঁচলার যুবক কাজ সেরে বাড়ি ফিরে লোডশেডিং দেখে   লিখেছেন, "বাড়ি থেকে যখন সকাল ৯ টায় বার হলাম তখন কারেন্ট ছিলোনা, আর রাত্রি ১১ টার সময় বাড়ি ঢুকতেই কারেন্ট চলে গেলো এবার ক্যান্ডেল ডিনার হবে।"

রাত ১১-২০ মিনিট থেকে গভীর রাত ১২-২৫ পর্যন্ত  ঘণ্টাখানেক লোডশেডিং -এর পর অবশ্য ইলেকট্রিক আসায় স্বস্তিতে মানুষজন।  

এদিকে গভীর রাতেও উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুর কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকাতেও লোডশেডিং এর খবর পাওয়া গেছে। রাত ১২ টা ৪০ মিনিট নাগাদ অন্ধকার নেমে আসে এলাকায়। আবার হয়তো ভোরের আলোয় আলোকিত হবে গোটা এলাকা এমনটাই মতামত স্থানীয়দের। তাদের দাবি এই ঘটনা শুধু আজকের নয়। প্রায় প্রতিদিনের।

 

কি কারণে হঠাৎ এই লোডশেডিং তা অবশ্য জানা যায়নি।
লোডশেডিং বিভিন্ন কারণে হচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে কলকারখানা সংখ্যা বাড়েনি তৃণমূল সরকারের আমলে। বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে পর্যাপ্ত হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেনি। প্রকৃত কারণ, কারিগরি অদক্ষতা, অবহেলা ও বহু পুরনোযন্ত্র ও সরঞ্জামের আবশ্যিক সংস্কারের কাজের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অক্ষমতা।

আরেক যুবক তার ফেসবুক পোস্টে লোডশেডিং এর প্রতিক্রিয়ায়  লিখেছে, "গরমকালে দুই ধরনের ভারতবর্ষ দেখা যায় 
১) যাদের এ.সি আছে। 
২) যাদের এ.সি নেই। 
সাম্য একমাত্র আনতে পারে লোডশেডিং।
তৃনমুল সরকার সেই কাজ টাই করছে। 
#ChorTMC হোক, জাত ভালো।"

 

Comments :0

Login to leave a comment