শুক্রবার রাতে রোনাল্ডোর ৯০০ গোলের মাইলফলকে পৌঁছানোর আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল এই বছরের ফিফার ব্যালন ডি ওর মনোনয়নের তালিকা। একুশ বছর পর ‘ব্যালন ডি ওর’ তালিকায় নেই মেসি রোনাল্ডোর নাম।
২০০৮ থেকে শুরু করে ২০২৩ পর্যন্ত প্রায় প্রত্যেকবারই এই ট্রফির শিরোপা ঘোরাফেরা করেছে এই দুই ফুটবলারের মধ্যেই। বিশ্বের সেরা ফুটবলারকেই দেওয়া হয় এই পুরস্কার। মেসি ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২,২০১৫, ২০১৯,২০২১, ২০২৩ সর্বাধিক মোট আটবার জিতেছেন এই শিরোপা। তার ঠিক পরেই রয়েছেন মেসির সব থেকে বড় প্রতিপক্ষ রোনাল্ডো। ২০০৮, ২০১৩, ২০১৪ , ২০১৬, ২০১৭ মোট পাঁচবার জিতেছেন রোনাল্ডো।
বর্তমানে ইউরোপ ছেড়ে বহুদূর পাড়ি দিয়েছেন দুই মহাতারকা । বেকহ্যামের দল ইন্টার মায়ামির হয়ে বর্তমানে মার্কিনমুলুকে মেজর সকার লিগ খেলছেন মেসি এবং সৌদি আরবে আল নাসারের হয়ে খেলছেন রোনাল্ডো। তাদের ফেলে আসা ফুটবল সাম্রাজ্যরক্ষার দায়িত্ব পড়েছে এখন ভিনিসিয়াস, বেলিংহ্যাম, এমবাপেদের ঘাড়ে ।
‘ব্যালন ডি ওর ২০২৪’-র মনোনীত তালিকায় রয়েছেন জুড বেলিংহ্যাম, ভিনিসিয়াস , রদ্রি , এমবাপে , কার্ভাহাল , ফোডেন , লামিন ইয়ামালদের নাম। এদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত চারটি নাম হল বেলিংহ্যাম , ভিনিসিয়াস , রদ্রি ও কারভাহাল । এঁদের মধ্যে তিনজনেই রিয়্যাল মাদ্রিদের ফুটবলার ।
বেলিংহ্যাম ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় ছাড়াও দেশ ইংল্যান্ডকে নিয়ে গিয়েছিলেন ইউরোর ফাইনালে । ভিনিসিয়াস দেশের হয়ে ভালো ফল না করতে পারলেও ক্লাবের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লীগ । তবে বাকি দুই স্প্যানিশ ফুটবলাররাই সবথেকে বেশি দাবিদার এই শিরোপার । রদ্রি নিজের দেশ স্পেনের হয়ে জিতেছেন ইউরো কাপ এবং ক্লাব ম্যান সিটির হয়ে জিতেছেন পর পর চারবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ । সবশেষে কারভাহাল ক্লাবের হয় চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ছাড়াও দেশের হয়ে জিতেছেন ইউরো কাপ । ২০০৭ এ কাকার পর আর কোনো মিডফিল্ডার জেতেনি এই শিরোপা এবং ১৯৭৬ এ ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের পর আর কোনো ডিফেন্ডার জেতেনি এই শিরোপা। তাই এই দুই স্প্যানিশ মিডিও এবং ডিফেন্ডারের দিকেই নজর গোটা বিশ্বের ।
ballon d'or 2024
সেরা বাছাইয়ের তালিকায় নেই মেসি, রোনাল্ডো
×
Comments :0