Uluberia Fire

ফের আগুন উলুবেড়িয়ার নিমদীঘিতে

জেলা

Uluberia Fire


জতুগৃহে পরিণত হয়েছে উলুবেড়িয়া পৌর এলাকা সহ হাওড়া গ্রামীন জেলা। গত তিনটে আগুন লাগার ঘটনার পর ফের আগুন লাগলো উলুবেড়িয়া পৌরসভার ১৬নং জাতীয় সড়ক সংলগ্ন। প্রত্যেকবারের মতো এবারও আগুন লাগার ঘটনার প্রায় অনেক পরে ঘটনাস্থলে এলো দমকল বাহিনী। শনিবার পবিত্র ইদের দিনের বিকালে আগুন লাগে উলুবেড়িয়া পৌরসভার নিমদীঘি মাঠে হোগলার গাদায়। পাশেই স্থানীয় ক্লাবের পক্ষ থেকে ইদ উপলক্ষ্যে মেলা। বিধ্বংসী আগুনে মজুত করা হোগলা সহ ৩০টি বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যায়। মেলারও আংশিক ক্ষতি হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারে বারে কেন আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে? আগুন লাগার এতোক্ষন পরে কেন আসছে দমকল বাহিনী? নিমদিঘী থেকে মাত্র ২০০মিটার দূরে দমকল দপ্তর, তাতেও দমকল আসতে প্রায় একঘন্টা লাগে কি করে?

জানা গেছে, এদিন বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ উলুবেড়িয়া পৌরসভার ১৬নং জাতীয় সড়ক সংলগ্ন নিমদীঘি মাঠে হোগলার গাদায় আগুন লাগে। এরপর আগুন ধীরে ধীরে গোটা এলাকায় ধরে যায়। পাশেই ইদ উপলক্ষ্যে মেলা চলছিল। তড়িঘড়ি সেই মেলা বন্ধ করে দেয় মেলা কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দারা বালতি করে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটা ছিল যে তারা কাছে ঘেষতে পারেনি। এরপর একে একে সেই আগুন প্রায় ৩০টি বাড়িকে গ্রাস। বাড়িতে থাকা দু’টি গ্যাস সিলেন্ডার আগুন ধরে ফেটে যায়। স্থানীয় মানুষরা দিশাহীনভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। তখনও দেখা মেলেনি দমকল ইঞ্জিনের। প্রায় ১ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। কিন্তু ততক্ষনে গোটা এলাকার আগুনের গ্রাসে চলে যায়। একটি দমকলের ইঞ্জিন কার্যত ছেলেখেলার কাজ করে কোনরকমে আগুনে জল দিতে থাকে। এরপর প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর একে একে আরো ৫টি ইঞ্জিন আসে ঘটনাস্থলে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আসে। কিন্তু ততক্ষনে প্রায় সব শেষ। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। ৩০টি বাড়ি সহ কয়েক লক্ষ টাকার হোগলা। মেলারও আংশিক ক্ষতি হয়। তবে কি কারনে আগুন লাগলো জানা যায়নি। দমকল বাহিনী ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।

অন্যদিকে, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় উলুবেড়িয়া পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান ইনামুর রহমান। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ বার বার কেন আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে উলুবেড়িয়া পৌর এলাকায়। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে উলুবেড়িয়া পৌর এলাকায় কি করে এতো বড়ো আগুন লাগে। 
স্থানীয় সিপিআই(এম) নেতা সাবিরউদ্দিন মোল্লা সহ পার্টি কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। স্থানীয়দের সঙ্গে তারাও আগুন নেভানোর কাজে সাহায্য করেন।
উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল বিকালে রানিহাটিতে বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়েছিল ১৫০টি দোকান। ১৮ এপ্রিল মাঝরাতে বিধ্বংসী আগুনে উলুবেড়িয়া থানার চেঙ্গাইল লাডলো বাজারে ভস্তীভূত হয় ১৫০টি দোকান। গত ২৯ ডিসেম্বর মাঝরাতে একই সময়ে উলুবেড়িয়া শহরের চার জায়গায় আগুন লেগে প্রায় ৩৭টি দোকান ভস্মীভূত হয়।

 

Comments :0

Login to leave a comment