Chandrayan 3 BITM

চাঁদে কিভাবে, পড়ুয়াদের হাতে কলমে দেখালো বিড়লা মিউজিয়াম

কলকাতা

চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠে প্রথম সফল অবতরণ করল ভারতের চন্দ্রযান-৩। এই ল্যান্ডার বিক্রমের মধ্যে থাকা প্রজ্ঞান চাঁদের পৃষ্ঠে জলের অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজবে। সেই সঙ্গে চলবে আরও বৈজ্ঞানিক গবেষণা। এই গবেষণা শুধু ভারতই নয় পুরো বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে। আগামী ১৫ দিন ধরে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অনুসন্ধান চালাবে সৌর শক্তিতে চালিত প্রজ্ঞান, সেখান থেকে পাঠাবে ছবি। তাই নিয়ে বিজ্ঞানীরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করবেন। দীর্ঘ সময় ধরেই চলবে সেই গবেষণা।

তবে বিজ্ঞানের যে কোনও সাফল্যই হয়ত সাধারণ মানুষের জীবনে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলে না। কিন্তু তার সুদুর প্রসারী প্রভাব থাকে। ভবিষ্যতে নানাভাবে উপকৃত হয় মানুষ। এক্ষেত্রেও তাই হবে। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযানের সফল অবতরণ হয়তো সাধারণ মানুষের রোজগার রুটিনে তেমন কোনও পরিবর্তনই আনবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে এই গবেষণা থেকেই বহু তথ্য সামনে আসবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

বুধবার চন্দ্রযানের এই সফল অবতরণ দেখানো হয় কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামে। সেখানে রাখা ছিল ল্যান্ডার বিক্রমের একটি মডেলও। পড়ুয়ারা যাতে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে চন্দ্রযান অভিযান ও ল্যান্ডার বিক্রম ও প্রজ্ঞান সম্পর্কে সেই কারণেই এই মডেল গুলো রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। মিউজিয়ামের ডিরেক্টর শুভব্রত চৌধুরী বলেন, ‘‘যে কোনও একটা বিজ্ঞান গবেষণা বা অভিযান সেটা শিশু ও পড়ুয়াদের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা গড়ে তোলে। বিজ্ঞানের বিষয়ে আগ্রহ বাড়ায়। ভবিষ্যতে তারা বিজ্ঞান নিয়ে কিছু করতে চায়। সকলেই যে গবেষক বা বিজ্ঞানী হবেন তা নয়, কিন্তু সমাজে এই ধরনের বিজ্ঞান চেতনা ও আগ্রহটা খুব প্রয়োজন।’ 

বিড়লা মিউজিয়ামে এদিন বহু স্কুলের পড়ুয়ারা আসে। তারা হাতে কলমে দেখে ল্যান্ডার বিক্রমকে। মিউজিয়ামের পক্ষ থেকেও তাদের বুঝিয়ে দেখানো হয় কিভাবে চাঁদের পৃষ্ঠে নামবে ল্যান্ডার বিক্রম। ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণার অন্যতম পুরোধা বিক্রম সারাভাইয়ের নামেই এই ল্যান্ডারের নামকরণ করা হয়েছে। সেই ল্যান্ডারের গতিবেগ কেমন থাকবে নামার সময়। প্রজ্ঞান কি ভাবে কাজ করবে সব কিছু যেন বুঝে নিতে চাইছিল কচিকাঁচার দল। 

চন্দ্রযান-৩’র চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণ করতে মোট ৪০ দিন সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে বারবরই সোস্যাল মিডিয়াতে নানা পোস্ট করেছে ইসরো। উল্লেখ্য এই পড়ুয়াদের মধ্যে অবশ্যই চন্দ্রযানকে ঘিরে আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার হওয়ার দৌড়ের পাশাপাশি বহু পড়ুয়াই স্বপ্ন দেখছে বিজ্ঞানী হওয়ারও। অনেকেই তার শিশু মনে ছবি একেঁছে চন্দ্রযানের। ভবিষ্যতে তারা তাদের স্বপ্ন কতটা সফল হবে তা বলা কঠিন কিন্তু এই স্বপ্ন দেখাটাই বা কম কী! 

Comments :0

Login to leave a comment