Pathasree money mismanagement

চন্ডীতলায় নিম্নমানের জিনিস দিয়ে রাস্তা নির্মান, প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ

জেলা

সাদা বালি না দিয়ে ইট পাতা হয়েছে কাচা মাটির ওপর তারওপরই তড়িঘড়ি হচ্ছে ঢালাই। কাটমানির লোভে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরির অভিযোগ করছেন বাসিন্দারা। 
হুগলির চন্ডীতলা ২ ব্লকের জনাই পঞ্চায়েতের পশ্চিমপাড়া গ্রামে তালপুকুর ধার থেকে নলদীঘি গাবতলা পর্যন্ত নামাঙ্কিত পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। তা নিয়েই চলছে একাধিক অভিযোগ। জানা গিয়েছে প্রকাশিত খরচের তালিকায় লেখা আছে রাস্তা তৈরির খরচ ১১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৯৯ টাকা। অদ্ভুত ভাবে খরচের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে দেওয়া টাকার অঙ্ক পেন দিয়ে কেটে খরচের একটা হিসাব দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।


স্থানীয় বাসিন্দা পাটচাষী শ্যামাপদ ঘোষ বলেন রাস্তা কি আর হবে? সব নেতা অফিসার মোক্তারেরা খুদকুড়ো খেয়ে নেবে। ইঁট যা বসিয়েছে হাল্কা চাপে পাঁপড়ের মতো ভেঙে যাচ্ছে। তারওপর ইটের ওপর ঢালাই হচ্ছে একটা বর্ষা পেরোলে হয়। মাটি সমান না করেই বালি ছাড়া এবড়োখেবড়ো ভাবে ইট বসানো হচ্ছে। ইট বসিয়ে রাস্তা ঢালাই করায় রাস্তা দূর্বল হতে বাধ্য। রাস্তার দুই ধার বাঁধাই না করে রাস্তা নির্মাণ করা অসম্ভব বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ১০ ফুট রাস্তা এখনও অর্ধসমাপ্ত হয়ে রয়েছ। বর্তমানে আরও ৮ ফুট রাস্তা তৈরির নির্দেশিকা রয়েছে। নতুন রাস্তার আকারে আরও ছোট হয়ে গেছে।


বামফ্রন্ট আমলে দুটি বড় জলার (ধান চাষের মাঠের) মাঝ বরাবর গ্রামের মানুষের মাধ্যমে প্রায় ১৪-১৬ ফুট বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল বর্ষার জল যাতে না ঢোকে সেই কারণে। বাসিন্দারা জানায় সেই বাঁধের উপর দিয়ে বর্তমানে দু’ধার বাঁধাই না করে ৮ ফুট  রাস্তা হলে বর্ষার পরেই রাস্তার দুই পাশের মাটি ধুয়ে গিয়ে রাস্তা ভেঙে যাবে। তাছাড়া ইঁদুরের মত প্রাণীরাও গর্ত করে দেবে। বৃষ্টির জলে রাস্তা স্তায়িত্ব পাবে না ফলে মাটি ক্ষয়ে রাস্তাও ভেঙে যাবে। আরেক বাসিন্দা শেখ নূর হোসেন বলেন পোলের ধারে রাস্তা বসে যেতে পারে। শুভ ঘোষ বলেন সব যায়গায় সরকারী আমলারা রাস্তার কাজ দেখতে আসতে পারে না। এখন কাজ কি হচ্ছে তা তো দেখতেই পাচ্ছেন।


পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সিপিআই(এম) সদস্য তথা এরিয়া সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন এই ধরনের কাজে গ্রামের মানুষকে যুক্ত করে রাস্তার নির্মাণের যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প তা আলোচনা করে উপভোক্তা কমিটি গঠন করা তো দূরের কথা।  প্রকল্প আদায় করার জন্য নির্বাচিত সদস্য হিসেবে আমি চিঠি দেই। তারও এক সপ্তাহ পরে প্রকল্পর কাগজ হাতে পাওয়া গেছে। তাই এলাকার মানুষ রাস্তার প্রকল্পের বাস্তবে লিখিতভাবে প্রকল্পে কি আছে তা জানতে পেরেছে। তিনি আরও জানান এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যায় যে মানুষকে যুক্ত করে তাদের জনকল্যাণে কাজ করার ইচ্ছা বর্তমান তৃণমূল প্রশাসনের একেবারেই নেই। আসলে এদের রাস্তা তৈরি থেকেও পথশ্রীর নামে টাকাটা লুট করে পকেটে ভরার উদ্দেশ্যই বেশি বলে মন্তব্য করেন অপূর্ব পাল

Comments :0

Login to leave a comment