Uttarakhand Tunnel Collapse 120 Hrs

১২০ ঘন্টা পার, এখনও সুড়ঙ্গে বন্দি ৪০ শ্রমিক

জাতীয়

পার হয়ে গিয়েছে ১২০ ঘন্টা। ধ্বংসস্তূপের ২৪ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া গিয়েছে। মোট অন্তত ৬০ মিটার খুঁড়তে হবে এখনও। ঘন্টায় ১ কিলোমিটার গতিতে চলতে খোঁড়ার কাজ। 

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে বন্দি ৪০ শ্রমিকের শারীরিক অবস্থা কেমন, তা নিয়ে ছড়াচ্ছে উদ্বেগ। শুক্রবার বেলার দিকে জানা গিয়েছে কয়েকজনের মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

গত রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধস নেমে আটকে পড়েন এই ৪০ শ্রমিক। তার মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন শ্রমিক, রয়েছেন উত্তর প্রদেশ, ওডিশা, বিহার, আসামের শ্রমিকরাও। 

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল সুড়ঙ্গে ঢোকার মুখ থেকে ২০০ মিটার দূরে ধস নেমে রাস্তা আটকে গিয়েছে। তার চেয়ে ভেতরে থাকায় শ্রমিকদের প্রাণহানি হয়নি। ধসের পুরুত্ব ছিল ৪০ মিটার। কিন্তু উদ্ধারের কাজ চলার মাঝে ফের ভেঙে পড়ে সুড়ঙ্গের ছাদের একটি অংশ। ফলে প্রায় ৬০ মিটার পুরু হয়ে যায় পাথর, কংক্রিট, মাটির স্তূপ। 

জাতীয় সড়ক ও পরিকাঠামো নির্মাণ সংস্থা এনএইচআইডিসিএল জানাচ্ছে, আবর্জনা খুঁড়ে ৮০০ ও ৯০০ মিলিমিটার ব্যাসের দু’টি পাইপ পরপর ঢোকানো হবে। গোড়ায় ঠিক ছিল এই পাইপের মধ্যে হামাগুড়ি দিয়ে চলে আসতে পারবেন শ্রমিকরা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় পরিকল্পনা বদলানো হচ্ছে। পাঠানো হবে চাকা দেওয়া স্ট্রেচার। দড়ি বাঁধা থাকবে তাতে। সুড়ঙ্গের উলটোদিকে পাইপ পৌঁছালে শ্রমিকরা উঠবেন স্ট্রেচারে। এক এক করে দড়ি দিয়ে টেনে বের করা হবে তাঁদের। 

রবিবার উদ্ধারকারীরা জানান যে শ্রমিকদের জন্য অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে সরু পাইপে। ৬ ইঞ্চির এই পাইপের মধ্যে দিয়ে পাঠানো হচ্ছে জল, শুকনো খাবার। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ শঙ্কিত সুড়ঙ্গে শ্রমিকদের অংশে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ে। কারণ বদ্ধ অবস্থায় মিশছে কার্বন ডাই অক্সাইড। বাতাস চলাচলের জায়গা নেই। 

Comments :0

Login to leave a comment