SMART METER

স্মার্ট মিটার রুখতে কনভেনশন

জেলা

কুলবেড়িয়ায় আয়োজিত কনভেনশনে বলছেন সুজন চক্রবর্তী। ছবি: রামশংকর চক্রবর্তী

‘‘২০০৩ সাল থেকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল তৎকালীন এনডিএ সরকার। মমতা ব্যানার্জি সেই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। এখন আবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের সরকার এই বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বেসরকারিকরণ করার পথে হাঁটছে। যাকে পুরোপুরি সমর্থন করেছে এ রাজ্যের তৃণমূল সরকার।"

সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রিপেইড স্মার্ট মিটার নিয়ে একটি কনভেনশনে একথা বলেন সুজন চক্রবর্তী। প্রিপেড স্মার্ট মিটারিংয়ের নামে বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থাযর বেসরকারিকরণের ব্যবস্থা হচ্ছে। গরিব, মধ্যবিত্ত বিদ্যুৎ গ্রাহক, কৃষকদের ব্যবহারের বিদ্যুতের ব্যাপক দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে সিআইটিইউ, সারা ভারত কৃষকসভা ও সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে সোমবার কুলবেড়িয়ায় এই কনভেনশন হয়। 

এই কনভেনশনে সুজন চক্রবর্তী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ'র রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু, সিআইটিইউ'র সর্বভারতীয় নেতা সুদীপ দত্ত, রাজ্য বিদ্যুৎ ওয়ার্কমেন্স ইউনিয়নের সম্পাদক অরিন্দম রায়। সভাপতিত্ব করেন কাঞ্চন মুখার্জি। উপস্থিত ছিলেন গণআন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। 

সভায় সুজন চক্রবর্তী বলেন "প্রিপেড স্মার্ট মিটারের নামে বেসরকারি সংস্থার হাতে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে তুলে দিচ্ছে সরকার। এই ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আগামী ৩ নভেম্বর আন্দোলন জোরদার করতে হবে।’’ 

অনাদি সাহু বলেন "দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বেসরকারিকরণ করার চক্রান্ত করে সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। স্মার্ট প্রিপেড মিটারের মাধ্যমে দেশের পুঁজিপতি, শিল্পপতিদের স্বার্থরক্ষা হচ্ছে। ২০১৪ সালের তুলনায়  ২০২৩ সালে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হয়েছে কয়েক গুণ।

সভায় অরিন্দম রায় বলেন ‘‘প্রিপেড স্মার্ট মিটারে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি হবে। নিয়মে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫০ টাকা হবে। শুধু তাই নয় দিনের যে সময় সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা বেশি হবে সে সময় বিদ্যুৎ মহার্ঘ হবে। সর্বোচ্চ মূল্য দিয়ে বিদ্যুৎ কিনতে হবে গরিবদের।" 

কনভেনশনে সুদীপ দত্ত বলেন, "স্মার্ট মিটারের নামে বিদ্যুৎ পরিষেবাকে বেসরকারিকরণ করার বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন জারি থাকবে।’’

Comments :0

Login to leave a comment