সাইকেল চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপে। শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন গোরখ দাস (৪৩)। শনিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় সাহাগঞ্জের ডানলপ এস্টেটের ভিতরের মাঠে। ওই ঘটনায় তিনজনকে জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ সাইকেল চুরির অপরাধে গাছে বেঁধে মারা হয়। তাদের অভিযোগ স্থানীয় এক যুবক ও আরো কয়েকজন মিলে তাঁকে মারধর করেছে। নিহত ব্যাক্তি দিনমজুরের কাজ করতেন। এদিন সকালে স্থানীয়রা মাঠে তাঁর দেহ পরে থাকতে দেখে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর যায় চুঁচুড়া থানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, নিহত গোরখ দাস তাঁর পরিবার নিয়ে ডানলপ কোয়ার্টারে থাকতেন। শুক্রবার প্রতিবেশির একটি সাইকেল চুরি হয়। সেই সন্দেহ গিয়ে পরে তাঁর উপর। পুলিশ জানিয়েছে ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ পষ্ট হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও মারধরে ব্যবহৃত লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতের ছেলে কিষান দাস জানান, ‘‘ডানলপের কোয়ার্টারের লোকেরাই বাবাকে পিটিয়ে খুন করেছে। তিনি অভিযোগ করেন ধ্বীরাজ নামে একজন তাঁর বাবাকে বেশি মেরেছে বলে সে জানতে পেরেছে। সে দাবি করেন এই বিষটি পুলিশকে জানিয়েছি। আমরা চাই যে দোষী তার যেনো শাস্তি হয়’’।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সেলিম বলেন, ‘‘গতকাল দুপুর দুটো নাগাদ সাইকেল চুরি হয়। তখনই গোরখ দাসকে ধরে চার-পাঁচজন মিলে মারতে থাকে। এরপরে বেঁধে তাকে মাঠে ফেলে আসা হয়। সকাল বেলা জানতে পারি মৃত্যু হয়েছে তার। ধীরাজ বলে একজনকে চিনতে পারা গেছে বাকিদের চিনতে পারা যায়নি। আমি ছাড়াতে গেলে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে ধীরাজ’’। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধীরাজ বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার অস্থায়ী কর্মী। সে বাঁশবেড়িয়া চেয়ারম্যানের কাছে কাজ করেন।
এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধীরাজ সিং, পিন্টু কুমার প্রসাদ ও ব্রীজেশ কুমার এই তিনজন গ্রেফতার হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলার রুজু করা হয়েছে।আগামীকাল তাদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হবে।
Comments :0