বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক বিন্যাস ‘ইন্ডিয়া’-র মুম্বাই বৈঠক হবে ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর। এর আগে পাটনা এবং বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করেছেন এই বিরোধী নেতৃবৃন্দ। শনিবার মুম্বাইয়ে শিবসেনার উদ্ধব থ্যাকারে গোষ্ঠীর সাংসদ সঞ্জয় রাউত এই খবর জানিয়েছেন। এদিনই বৈঠকের প্রস্তুতির জন্য বৈঠক করে মহারাষ্ট্রে বিরোধী শিবসেনা, কংগ্রেস এবং শারদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি’র জোট মহা বিকাশ আঘাড়ি।
৩১ আগস্ট গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে বৈঠক। পরের দিনও আলোচনায় বসবেন ‘ইন্ডিয়া’ দলগুলির নেতৃবৃন্দ। এই বিরোধী বিন্যাসে কংগ্রেসের পাশাপাশি শামিল রয়েছে সিপিআই(এম), সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরজেডি, জনতা দল (ইউ), পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্সের মতো ছাব্বিশটি দল। গত মাসে মেঞ্গালুরুর বৈঠক থেকে ঠিক হয় এই বিন্যাসের নাম।
লক্ষ্যণীয় হলো শনিবার মহা বিকাশ আঘাড়ির বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এনসিপি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শারদ পাওয়ার। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানেই লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয় মোদীকে। পাওয়ারের অংশগ্রহণে ঊষ্মা জানান শিবসেনা নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে। পাওয়ারের কন্যা এবং এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলেও অংশ নেন বৈঠকে। শিবেসনার পাশাপাশি এনসিপি-কেও ভাঙিয়েছে বিজেপি। মহারাষ্টরে এখন বিজেপি সরকার চালাচ্ছে এই দুই দলের ভেঙে বেরিয়ে আসা অংশের সঙ্গে জোট করে।
‘ইন্ডিয়া’-তে শামিল রয়েছে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসও। তবে বামপন্থীরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’র পাশাপাশি লড়াই হবে তৃণমূলের সঙ্গেও। দেশের সংবিধান এবং গণতন্ত্রের ওপর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আক্রমণ ঠেকানোকেই পারস্পরিক সমন্বয় গড়ে লড়াইয়ের প্রধান কারণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন ‘ইন্ডিয়া’ নেতৃত্ব। বামপন্থীরা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’র কায়দায় বিরোধীশূন্য রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারও।
Comments :0