Man enter in school with Gun

ছেলে নিখোঁজ রিভলভার হাতে নিয়ে স্কুলে ঢুকে গেলেন বাবা

জেলা

২৬শে এপ্রিল বুধবার দুপুরে পুরাতন মালদহ ব্লকের ( মালদহ থানা) মুচিয়া অঞ্চলের চন্দ্রমোহন হাই স্কুলে এলাকার এক ব্যাক্তি আগ্নেয়াস্ত্র সহ সপ্তম শ্রেণীতে ক্লাস চলাকালীন ঢুকে পড়লে উপস্থিত ৭১ জন ছাত্রছাত্রী আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। শুধু আগ্নেয়াস্ত্র নয়ঐ ব্যাক্তি টেবিলের উপর তরলে ভর্তি বোতল, (যাতে এ্যাসিড বা পেট্রোল রাখা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে) রাখে এবং চিৎকার করতে থাকে এই বলে যে তার সাথে বোমাও আছে। এই ঘটনায় শুধু স্কুলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে তা নয় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক সহ এলাকার সাধারণ মানুষও স্কুলের সামনে এসে ভীড় জমায়।

জানা গেছে এ ব্যাক্তির নাম দেবকুমার বল্লভ। এর স্ত্রী রেবা বল্লভ এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা। তিনি বিজেপি টিকিটে জিতলেও পরবর্তীতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ তার স্ত্রী ও ছেলে বেশ কিছুদিন ধরেই নিখোঁজ। কিন্তু স্ত্রী ও ছেলের খোঁজেবিশেষতঃ ছেলের খোঁজেবেশ কিছু দিন ধরেই থানা সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও তাদের কোন খোঁজ না পেয়ে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিষয় যাই হোক এই ঘটনায় স্কুলগুলির নিরাপত্তা বিশেষতঃ ছাত্র-ছাত্রীশিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টির সামনে এক বিরাট প্রশ্ন হিসাবে দেখা দিয়েছে।

বিষয়টি মালদহ থানার নজরে আসার পর পরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ও ব্লকের আধিকারিকরা স্কুলে এসে পৌঁছায়। কোনরকম অপ্রীতিকর  ঘটনা ঘটার আগেই ঐ ব্যাক্তিকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলেও এই ঘটনা বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিলএদিকে এই ঘটনায় এস এফ আই এর জেলা সভাপতি কৌশিক মৈত্র ও সম্পাদক চিরঞ্জিত মন্ডল এক বিবৃতিতে বলেন এই ঘটনা জেলার শিক্ষা ক্ষেত্রে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এই ধরণের ঘটনা আগে কাগজে পড়লেও আমাদের রাজ্যে কখনো দেখিনি। শুধু এই ঘটনা নয়গত ১৮ই মার্চ গাজোলের একটি স্কুলে ঢুকে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে একদল দুষ্কৃতি। অন্যদিকে ২৫শে এপ্রিল সকালে ওল্ড মালদহ ব্লকের এক নবম শ্রেণীর ছাত্রীর মরদেহ পাওয়া যায় এলাকা থেকে প্রায় ৬০ কিঃমিঃ দূরে কালিয়াচক-৩ ব্লকের আকন্দবাড়িয়া অঞ্চলের এক চাষের জমি থেকে। তাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এমনিতেই রাজ্যের শিক্ষার পরিবেশ দিন দিন নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর স্বল্পতা বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে। যার প্রমাণ এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রায় ৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে যাওয়া। তাঁরা আরও বলেন বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও পঠনপাঠনের উন্নতি ঘটাতে প্রয়োজনীয় নিয়োগ করতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment