ED DIRECTOR SC

ইডি’র ডিরেক্টরের মেয়াদ বাড়াতে কেন্দ্রে যুক্তি কি সঙ্গত, উঠল প্রশ্ন

জাতীয়

আন্তর্জাতিক নজরদারির দায়বদ্ধতা দেখিয়ে ইডি’র প্রধান পদে এসকে মিশ্রের মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্ট আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিশ্রকে পদে থাকার অনুমতি দিয়েছে বৃহস্পতিবার। কিন্তু কেন্দ্রের যুক্তিতে একাধিক গরমিলও ধরা পড়ছে। 

এর আগে দু’বার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। শীর্ষ আদালত তার সমালোচনাও করেছে। ৩১ জুলাইয়ের পর মিশ্রকে আর এনফোর্সমেন্স ডিরেক্টরের পদে না রাখার সিদ্ধান্তও জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় ফের বিবেচনার আবেদন জানায় কেন্দ্র। 

কী যুক্তি কেন্দ্রের?

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে বলেছেন যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের আর্থিক বেনিয়ম সংক্রান্ত ভারতীয় টাস্ক ফোর্সের কাজ চলছে। মিশ্র এ কাজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। কাজের মাঝে তাঁকে সরালে সমস্যা হবে। অন্তত ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে ইডি’র ডিরেক্টর পদে রেখে দেওয়া জরুরি। 

সংশ্লিষ্ট অংশের বক্তব্য, এই টাস্ক ফোর্স এফএটিএফ’র কাজ চলবে ২০২৪ পর্যন্ত। প্রশ্ন হলো, কেন্দ্রের কথা অনুযায়ী অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত মিশ্রকে রেখে দিলেও তার পরের কাজ তা’হলে কিভাবে হবে? দেখা যাচ্ছে যে এফএটিএফ’র মাপকাঠিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘ একটি অর্থনীতিতে মোট ৪০টি মাপকাঠির নিরিখে বিচার করে। তার একটি অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক জোগান, যে ক্ষেত্রে নজরদারি করার কথা ইডি’র। তা’হলে বাকি মাপকাঠিগুলির জন্যও কী সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো হবে, উঠছে প্রশ্ন। 

ইডি’র ডিরেক্টরকে নিজের কাজ সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হয় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীন আয় বিষয়ক বিভাগের সচিবের কাছে। মিশ্র যবে থেকে পদে, প্রায় সেই সময়, ২০১৯ থেকে তিনবার বদলানো হয়েছে আয় বিভাগ বা ‘রেভেনিউ ডিপার্টমেন্টের’ সচিব। অর্থনীতি বিষয়ক দপ্তরও এফএটিএফ’র কাজে গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সেখানেও সচিব বদলি হয়েছে নিয়মিত। 

এদিন কেন্দ্রের যুক্তি মেনে বিচারপতি বিআর গাভাই, বিক্রম নাথ এবং সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ বলেছে ‘‘জনস্বার্থ বিবেচনায় রেখে ইডি’র ডিরেক্টর পদে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে এসকে মিশ্রের। ১৫ তারিখ মধ্যরাতের আগে তাঁকে দায়িত্ব ছাড়তে হবে।’’   

ইডি’র বিরুদ্ধে বারবারই বিরোধী দলের নেতাদের বেছে বেছে বিপাকে ফেলার অভিযোগ উঠছে। তাঁদের মধ্যে কেউ বিজেপি’তে যোগ দিলে সিবিআই’র মতো এই সংস্থারও তৎপরতা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবার কলকাতা হাইকোর্টে নিয়মিত এই সংস্থা ধমক খাচ্ছে  নিয়োগ জালিয়াতির মতো তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির তদন্তে ঢিলেমির জন্য। তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জির বিদেশযাত্রাও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে ইডি’কে।

Comments :0

Login to leave a comment