DRONE MODI CONGRESS

আমেরিকা থেকে চার গুন দামে ড্রোন কিনছেন মোদী, অভিযোগ কংগ্রেসের

জাতীয়

DRONE MODI CONGRESS ছবি প্রতীকী। ইন্টারনেট থেকে।

চার গুন বেশি দামে কেনা হচ্ছে আমেরিকার ড্রোন। রাফায়েল চুক্তির মতো আরেকটি কেলেঙ্কারি করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। 

প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরে সম্পাদিত চুক্তি ঘিরে এমনই মারাত্মক অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। অনেক চড়া দামে ড্রোন কেনা নিয়ে অভিযোগ বিভিন্ন স্তরে যদিও ছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে ব্যাখ্যাও হাজির করতে হয়েছে। যার প্রধান বক্তব্য, চুক্তি হয়েছে কিন্তু দাম চূড়ান্ত হয়নি। চুক্তির মার্কিন প্রাতিষ্ঠানিক সম্মতি পেলে তখন শুরু হবে দাম নিয়ে আলোচনা। 

বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা। তিনি বলেছেন, ‘‘একেকটি ড্রোন কেনা হচ্ছে ৮৮০ কোটি টাকায়। মোট ৩১টি ড্রোন কেনার চুক্তি হয়েছে। খরচ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা।’’ খেরার অভিযোগ, ‘‘যে দামে ভারত কিনতে রাজি হচ্ছে তার চারভাগের একভাগ দামে আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রিডাটর ড্রোন। ভারত কেন চারগুন দামে এমন ড্রোন কিনবে যার প্রযুক্তি সেকেলে। আমেরিকার গুদামে পড়ে রয়েছে।’’ 

খেরার প্রশ্ন, কেন বিষয়টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সুরক্ষা বিষয়ক কমিটিতে আলোচনার আগেই চুক্তি সেরে ফেললেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, বিমানবাহিনী চেয়েছিল ১৮টি ড্রোন, মোদী চুক্তি করলেন ৩১টি ড্রোনে। তা কী বাহিনীর সুবিধার জন্য নাকি বিশেষ কোনও গোষ্ঠীকে আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দিতে। 

‘থার্টিওয়ান এমকিউ- নাইনবি প্রিডাটর ড্রোন’ বা চালকবিহীন উড়ান কেনার চুক্তি করেছে ভারত। যার নির্মাতা সংস্থা ‘জেনারেল অ্যাটমিক্স’। নৌবাহিনীর নজরদারিতেও এই ড্রোন ব্যবহার করা যাব বলে দাবি নির্মাতা সংস্থার। সামরিক বাহিনীতে অত্যাধুনিক ডরোন এখন সব দেশই ব্যবহার করে। কিন্তু কেন্দ্র সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত সামরিক সরঞ্জাম গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিআরডিও’কে ১৭৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল ‘রুস্তম’ এবং ‘ঘাতক’ দুই ধরনের ড্রোন তৈরিতে। 

চালকবিহীন যান তৈরির কাজ কতদূর, সে প্রশ্নও তুলেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র। 

খেরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘আপনার বহুবার বলা স্লোগান ‘মেক ইন ইন্ডিয়ার’-র কী হলো। এর আগে রাফায়েল চুক্তির সময় ডিআরডিও’কে সরিয়ে বেসরকারি অনভিজ্ঞ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবারও কী সেরকম কিছু হচ্ছে?’’

কংগ্রেসের অভিযোগ জেনারেল অ্যাটমিক্স’র প্রধান ভারতে সরকারের শীর্ষ স্তরে এর মধ্যে বারবার যোগাযোগ করেছেন। তার সঙ্গে সরকারি কোষাগার থেকে বাড়তি খরচ করার সম্পর্ক আছে কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছে কংগ্রেস।    

Comments :0

Login to leave a comment