Che about India

বৈপরীত্যের দেশ

বিশেষ বিভাগ

চে গুয়েভারা

একজন সহজেই বুঝতে পারবে গরু প্রাচীন ভারতীয়দের কাছে এক পবিত্র পশু ছিল- গরু খেতে চড়ত, দুধ দিত, এমনকি গোবরের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। যেখানে প্রাকৃতিক জ্বালানি পাওয়া যেত না, সেখানে জ্বালানি হিসেবে কাজ করত। তাই সহজেই অনুমেয় কেন কৃষকদের ধর্ম তাদের এই মহামূল্যবান গরুকে হত্যা করা থেকে বিরত রাখত। এই কারণে, একমাত্র গরুকে পবিত্র ভাবার মধ্যে দিয়েই কেবল পরিত্রাণের রাস্তা ছিল। এভাবেই ধর্মের মতো এত নির্ণায়ক শক্তি উৎপাদনের এহেন কার্যকর উপাদান যার উপর গোটা সমাজ নির্ভরশীল তার প্রতি সম্ভ্রম উদ্রেক করানোর যাবতীয় বন্দোবস্ত করে।

    

It's About India

কায়রো থেকে আমরা প্লেনে চড়ে সরাসরি ভারতে আসি। ৩৯ কোটি মানুষের দেশ ভারত, যার আয়তন তিরিশ লক্ষ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। 

এইদেশে জমির মামলাটা মিশরের মতো অতটা রূক্ষ্ম-করুণ হয়তো না। কারণ এখানকার জমির চরিত্র মরুরাষ্ট্রটির জমির তুলনায় উন্নতমানের। তবুও সামাজিক অন্যায় এমন এক আবর্ত তৈরি করেছে ভারতে, যেখানে আগাগোড়া খামখেয়ালি বণ্টনের দৌলতে অল্প কিছুজনের হাতে রয়েছে অঢেল জমি, আর অধিকাংশ মানুষের হাতে যৎসামান্য জমি! 

আঠারো শতকের শেষদিকে আর উনিশ শতকের গোড়ায় ইংল্যান্ড ভারতে উপনিবেশ স্থাপন করে। এটা অবশ্য স্বাধীনতার জন্য বিনা সংগ্রামেই ঘটেছে এমনটা না, তবে ইংরেজদের সামরিক প্রায়োগিক দক্ষতা নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। উঠতি কারুশিল্প ঔপনিবেশিক কাঠামোর করাঘাতে আহত হল ব্যাপকহারে। এই ঔপনিবেশিক কাঠামোর উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয়দের আর্থিক স্বনির্ভরতাকে ধ্বংস করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতি তাদের চিরঋণভারগ্রস্ত করে তোলা। এই অবস্থা উনিশ শতকজুড়েই বর্তমান ছিল, এমনকি চলতি শতকের (বিশ শতকের) প্রথমভাগ অব্দিও। আর সারাদেশে মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্ত কিছু বিদ্রোহ আছড়ে পড়ত যা শেষমেশ নিরীহ মানুষের রক্তসমুদ্রে ডুবে যেত অগোচরে। 

ইংরেজ ঔপনিবেশিক শক্তি গত মহাযুদ্ধের পাঁক থেকে উঠে এল ক্ষয়িষ্ণুতার স্পষ্ট দাগ বয়ে নিয়ে। আর ভারত, মহাত্মা গান্ধীর আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বে ভর করে এক পরোক্ষ প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে, অবশেষে নিজেদের বহু-প্রতিক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করল। গান্ধীর মৃত্যুর পরে, (জওহরলাল) নেহরুকে সরকারি মুখপাত্রের দায়দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে বইতে হল। উনি এমন একটা দেশের দায়িত্ব নিলেন, যার অন্তরাত্মা অনাদি যুগের অধীনতাভারে ন্যুব্জ, আর যার অর্থনীতির লক্ষ্য ছিল লন্ডনের মেট্রোপলিটন বাজারগুলিতে সস্তায় মাল সরবরাহ করা। ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত স্থাপনের জন্য জনগণের মধ্যে জমির বণ্টন ও দেশের মাটিতে শিল্পকারখানা স্থাপন ছিল আশু দরকার। কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্ব সোৎসাহে এই কাজে আত্মনিয়োগ করলেন। 

এই সুবৃহৎ ও অসাধারণ দেশে এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও রীতিনীতি আছে যা সমকালীন কোনো সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিত আমাদের ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। 

আমাদের দেশেও এই একই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বর্তমান, আমাদের অতীতও অনুরূপ কলঙ্কময় ও ঔপনিবেশিকতাপীড়িত, আমাদের প্রগতির রেখাও একই দিকে ধাবমান ছিল; তথাপি, একই লক্ষ্যের দিকে ধাবিত সদৃশ সমাধান দিন আর রাত্রির মত তফাৎ গড়ে দিল; একদিকে যেমন কৃষি সংস্কারের ঘূর্ণিঝড় ক্যামাগুয়ে শহরের বৃহৎ জমিদারদের জমি এক বিরাট স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে গেল আর গোটা দেশজুড়েই এক অপ্রতিরোধ্য মহাতরঙ্গ তৈরি করল যা ভূমিহীন ছোট কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সেই জমি বণ্টনের মহাযজ্ঞ সম্পন্ন করল, অন্যদিকে মহান ভারত প্রাচ্য মিতব্যয়ীসুলভ মনোভাব সম্বল করে সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলছিল, ন্যায়পরায়ণ বড় জমিদারদেরকে একে একে চাষাভুষোদের জমি বিলোনোর জন্য বুঝিয়ে রাজি করানোর চেষ্টার সঙ্গে সমানতালে কৃষকদেরও জমি অর্থের বিনিময়ে কেনার জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা জারি ছিল। ফল হল এই যে, সমগ্র মানবতার অন্যতম আদর্শবান, বিচক্ষণ ও হতদরিদ্র অংশের জনতার দুর্দশা থেকে দারিদ্র‍্যে অবস্থান্তর একপ্রকার অগোচরে থেকে গেল।

 

রাজধানী নয়া দিল্লির কাছে আমরা এক কৃষি সমবায় ঘুরে দেখছিলাম। ঊষর-বিরান জমির মধ্যে ৪০ কিমি পথ পেরনোর পরে আমরা এক ছোট্ট কুঁড়েঘরের বস্তিতে এসে পৌঁছালাম যা দাঁড়িয়েছিল তার মাটির দেওয়াল আর গভীর দারিদ্র্য নিয়ে। এই রাস্তাটুকুতে সবুজ গাছপালা বর্তমান ছিল তাদের অনুপস্থিতি নিয়ে, গোরুমোষেরাই এই সমতলে নিজেদের প্রায় একক ও ব্যাপক অস্তিত্ব জানান দিচ্ছিল। এই সমবায়টির গর্ব ছিল এই স্কুলটি, যা দুজন মাত্র শিক্ষকের অতিমানবিক উদ্যমে একপ্রকার চালিত হত। এই দু'জন স্কুলের পাঁচটি ক্লাসেই নিজেদের উদ্যোগে পড়াতেন। পাটকাঠির মত রোগা বাচ্চারা যাদের দেখলেই অসুস্থ মনে হয়, তারা নিজেদের পাছায় ভর করে মেঝেতে বসে শিক্ষকদের পড়ানো শুনছিল মন দিয়ে। 

সবথেকে বড় উন্নতি ছিল জনগণের ব্যবহারের স্বার্থে নির্মিত সিমেন্টের ঘেরাওয়ালা দুটো কুঁয়ো চালু হওয়া। কিন্তু অসামান্য সামাজিক গুরুত্ববহ আরও কিছু উদ্ভাবন ঘটে যা হতদারিদ্র্যের জয়জয়কার সম্বন্ধে আমাদের স্পষ্ট ধারণা দেয়। কৃষিসংস্কারের কারিগরেরা ভারতীয় চাষিদের শেখাতে হচ্ছে গোবর-ঘুঁটের বদলে জ্বালানি হিসেবে কেরোসিন ব্যবহার করতে।

 

এই ছোট্ট, প্রায় হাস্যকর বদল, যদিও ব্যাপক পরিমাণে আগে জ্বালানি হিসেবে ভুলভাবে ব্যবহৃত শুকনো গোবরকে সার হিসেবে ব্যবহারের স্বাধীনতা দেয়। আত্মিকতার সঙ্গে শিশু ও মেয়েরা গোবর কাছিয়ে সূর্যের তলায় শুকোতে দিয়ে এবং পরে এগুলো জমিয়ে কয়েক মিটার উঁচু বিশালকায় উঁইঢিবির মত পিরামিডাকৃতি তৈরি করত। ভারত সরকারের প্রচেষ্টার দৌলতে, ওদের কাছে এখন নিজেদের ছোট্ট কেরোসিন স্টোভ থাকবে আর ওই গুরুত্বপূর্ণ গোসম্পদ দিয়ে জমিকে উর্বর করতে পারবে। একজন সহজেই বুঝতে পারবে গরু প্রাচীন ভারতীয়দের কাছে এক পবিত্র পশু ছিলগরু খেতে চড়ত, দুধ দিত, এমনকি গোবরের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। যেখানে প্রাকৃতিক জ্বালানি পাওয়া যেত না, সেখানে জ্বালানি হিসেবে কাজ করত। তাই সহজেই অনুমেয় কেন কৃষকদের ধর্ম তাদের এই মহামূল্যবান গরুকে হত্যা করা থেকে বিরত রাখত।এই কারণে, একমাত্র গরুকে পবিত্র ভাবার মধ্যে দিয়েই কেবল পরিত্রাণের রাস্তা ছিল। এভাবেই ধর্মের মতো এত নির্ণায়ক শক্তি উৎপাদনের এহেন কার্যকর উপাদান যার উপর গোটা সমাজ নির্ভরশীল তার প্রতি সম্ভ্রম উদ্রেক করানোর যাবতীয় বন্দোবস্ত করে। 

বছর ঘুরতে থাকে। আর শতাব্দীও পেরিয়ে যায় এবং তরল জ্বালানি ও যান্ত্রিক কর্ষণের এই যুগে এসেও, এই পবিত্র পশুকে একই সম্মান প্রদর্শন করা হয়ে থাকে, এবং বিনা বাধায় এর সংখ্যা বাড়তে থাকে কেননা এর মাংস খাবার মত 'পাপ' করবার সাহস কেউ করে না। ১০ কোটি ৮০ লক্ষ গরু ভারতে আছে, দুনিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গো-উৎপাদক দেশ আমেরিকার থেকে প্রায় ১০ কোটি বেশি সংখ্যায়, এবং উল্টোদিকে ভারতীয় নেতারা এমন এক জনতা বানাতে বদ্ধপরিকর যারা ধার্মিক ও রীতিনীতির প্রতি একান্ত অনুগত এবং পবিত্র পশুটির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে যাতে এতটুকু ঘাটতি না পড়ে! ভারতের প্রথমসারির শহর ক্যালকাটা (অধুনা কলকাতা)য় ৬০ লক্ষ মানুষ এক অবিশ্বাস্য সংখ্যার গরুদের সঙ্গে ঠাসাঠাসি করে বসবাস করে, এদের জন্য রাস্তা নোংরা হয়, যখনই এরা মাঝরাস্তায় জাবর কাটতে কাটতে দাঁড়িয়ে পড়ে, ট্রাফিক জ্যাম তৈরি হয়ে যায়। 

এই শহরে আমরা পূর্ণাঙ্গ ভারতের জটিলত্বের অদ্ভুত উদাহরণ দেখেছি: একদিকে শোচনীয় দুর্দশা অন্যদিকে শিল্পোন্নয়নের আশায় ভারী শিল্পের বিকাশ যা আবার সময়সাপেক্ষ। যেমন লোকোমোটিভ এবং সমস্ত ক্ষেত্রের গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রযুক্তিগত উন্নতির লক্ষণ, যার কারণে বিশ্বব্যাপী ভারতীয় বিজ্ঞানীগণ সমাদৃত হন। 

আমাদের সুযোগ হয়েছিল সত্যিকারের পণ্ডিত ব্যক্তি, সমকালের অন্যতম বিশিষ্ট পদার্থবিদ কৃষ্ণের সঙ্গে মোলাকাত করবার। উনি ওনাদের সহজাত সরলতা ও নম্রতার সঙ্গী করে দীর্ঘক্ষণ আমাদের সাথে কথোপকথন চালান, বারংবার জোর দেন শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তিকে ব্যবহার করা সুনিশ্চিত করতে বিশ্বের সক্ষমতা ও সে প্রয়োজনে সমস্ত প্রযুক্তিগত শক্তিকে নিয়োজিত করবার প্রয়োজনীয়তায়। তিনি তীব্র ধিক্কার জানান আন্তর্জাতিক পরিসরে আলোচনার দরুণ যারা হাইড্রোজেন অস্ত্রাগার নির্মাণে সর্বস্ব পণ করেছে তাদের বকওয়াস নীতিকে। 

ভারতে, বিশ্বযুদ্ধ মানুষের জীবনের সঙ্গে এতটাই অসংলগ্ন যে তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত তীব্রতাতেও বিশ্বযুদ্ধের ইস্যুকে তারা ব্যবহার করেননি। শান্তিপূর্ণ ক্ষোভের ব্যাপকতর সমাবেশের জেরেই ইংরেজ ঔপনিবেশিকতা বাধ্য হয় তাদের ১৫০ বছরের শাসনক্ষেত্র থেকে চিরকালের জন্য চলে যেতে।

 

এটা আকর্ষণীয় যে এই বৈপরীত্যের দেশে, চূড়ান্ত দুর্দশার সাথে সহাবস্থান করে সভ্য জীবনের সর্বোচ্চ আরাম ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, মেয়েরা সামাজিক সম্পর্ক ও রাজনীতিতে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কংগ্রেসের সভাপতি এবং বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছে ভারতের সুকুমারমতি মেয়েরা। 

আমাদের সফরকালে, ভারতীয় রাজনৈতিক জীবনের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। নেহরু ঠাকুরদাসুলভ উদারতায় আমাদের স্বাগত জানালেও কিউবার মানুষদের যন্ত্রণা ও সংগ্রামের ব্যাপারেও মমতাসহকারে খোঁজ নেন। আমাদের লক্ষ্যের সঙ্গে বিনাশর্তেই সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে আমাদের বহুমূল্য অসাধারণ কিছু পরামর্শ দান করেন। আমি একই কথা বলতে পারি রাষ্ট্রসংঘের মুখ্য প্রতিনিধি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভি কে কৃষ্ণ মেননের সম্বন্ধেও। উনিই আমাদের দুইদেশের সমস্যার পারস্পরিক মনোভাব আদানপ্রদানের জন্য সামরিক প্রধানদের সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থাপনা করে দেন। 

আমাদের এক আন্তরিক সাক্ষাৎ ঘটেছে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে, ভবিষ্যতের বাণিজ্যিক লেনদেনের বুনিয়াদ পোক্ত হল এতে, এটি ভবিষ্যতে গুরুত্ব বহন করবে। আমরা তামা, কফি, টায়ারের জন্য রেয়ন ফাইবার, এমনকি অদূর ভবিষ্যতে চিনিও রপ্তানি করতে পারি; ভারত আমাদের কয়লা, সুতো, টেক্সটাইল, পাটসামগ্রী, ভোজ্যতেল, বাদাম, ফিল্ম, রেল সামগ্রী ও বিমান প্রশিক্ষণের সামগ্রী ইত্যাদি রপ্তানি করতে পারে। কিন্তু তালিকাটি এখানেই থেমে যাবে না; অভিজ্ঞতা বলছে শিল্পায়নের প্রক্রিয়া জোরদার হলে দুই দেশেই প্রক্রিয়াজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়বে। ৩৯ কোটি ভারতীয়দের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে, আমাদের চিনির চাহিদাও বাড়বে আর আমরা এক নতুন ও মূল্যবান বাজারও তৈরি করতে পারি।

 

আমরা আমাদের সফরে বহু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা লাভ করি। কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এইটাই যে কোনো দেশের আর্থিক উন্নয়নের ভিত সেদেশের প্রযুক্তিগত উন্নতির দ্বারাই কেবল বুঝতে পারা সম্ভব, এবং এ শিক্ষাও পেলাম যে বিজ্ঞানগবেষণার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাটা প্রাথমিক ব্যাপার যাতে ওষুধ, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা ও কৃষির বিকাশ সম্ভবপর হয়। এই সমস্ত প্রযুক্তিগত কাঠামো আর শিক্ষাগত ডিসিপ্লিনের প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট জাতীয় রাশিবৈজ্ঞানিক কেন্দ্র থেকে পরিচালন ও সমন্বয়সাধনের প্রয়োজন রয়েছে। ভারতীয়েরা এইক্ষেত্রে সুনিপুণ। আমরা যখন আগেই উল্লিখিত সমবায়টি থেকে বেরচ্ছিলাম, ওখানকার বাচ্চারা এক চমৎকার প্রার্থনা-সঙ্গীত গাইছিল, বাংলাতে যার মানে দাঁড়ায়কিউবা আর ভারত ভাইভাই। আদতেই, কিউবা আর ভারত ভাইভাইগোটা দুনিয়ার সকল মানুষেরই এই পারমাণবিক বিভাজন আর আন্তঃবিশ্ব রেঞ্জের মিসাইলের যুগে আসলে যেমনটা হওয়া উচিৎ। 

উৎসঃ চে গুয়েভারা শিক্ষাকেন্দ্র, হাভানা। এই নিবন্ধটি ১৯৫৯ সালের ১২ই অক্টোবর ভার্দে অলিভো (সবুজ অলিভ) পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়।

ভাষান্তর: দেবরাজ দেবনাথ

Comments :0

Login to leave a comment