Health crisis

ভারতে স্বাস্থ্য সংকট ক্রমশ বাড়ছে তরুণদের মধ্যে

জাতীয়

কোভিডের ধাক্কা থেকে বিশ্ব যখন ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে, তখন আরও একটি মহামারী ধীরে ধীরে পরিস্থিতিকে ক্রমশ গ্রাস করছে, বিশেষত ভারতের তরুণ জনগোষ্ঠীকে। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন নতুন স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
একসময় উচ্চ রক্তচাপ বয়স্কদের জন্য দুর্ভোগ বলে মনে করা হত কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ এখন যুবদের মধ্যে তার উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, জীবনযাত্রার ধরণ, স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সঙ্কট সম্পর্কে প্রশ্ন তুলছে যা, যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তবে বিপদ অপেক্ষা করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) তার প্রথম প্রতিবেদনে উচ্চ রক্তচাপের বিধ্বংসী প্রভাবগুলি এবং কীভাবে এই মারাত্মক অবস্থা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর, কিডনির ক্ষতি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাকে ত্বরান্বিত করে তা তুলে ধরেছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর মতে, ভারতে মোট মৃত্যুর ১০.৮ শতাংশই উচ্চ রক্তচাপের কারণে ঘটে।
নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস)-এর চিকিৎসক ডাঃ কার্তিক গুপ্তা গ্রেট ইন্ডিয়া বিপি সার্ভেতে (২০১৮) বলেছেন, ‘‘ভারতের স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম সাধারণত ৩০ বছর বয়সে শুরু হয়, যা অনেক দেরি হয়ে যায়। ভারত যে সংকটের দিকে এগোচ্ছে তা এড়াতে আমাদের তাড়াতাড়ি স্ক্রিনিং এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রচার করা দরকার।
২৪টি অঙ্গরাজ্যে একদিনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরিচালিত এই সমীক্ষায় ধূমপান ও তামাক চিবানো, ডায়াবেটিস ও উচ্চ কোলেস্টেরল, আগের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক এবং রক্তচাপের ওষুধ সেবন করা হয় কিনা তার চিত্র উঠে এসেছে।
সব মিলিয়ে, তরুণ ভারতীয়দের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের বৃদ্ধি অবিলম্বে মনোযোগ এবং পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি সম্মিলিত পদক্ষেপ দাবি করছে। এটি কেবল একটি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ নয় বরং একটি সম্ভাব্য জাতীয় সংকট যার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পক্ষে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন প্রয়োজন।

Comments :0

Login to leave a comment