Heatwave

তীব্র গরম চলবে আরও ৩-৪ দিন

রাজ্য

 আগামী ৩-৪ দিন রাজ্যে তীব্র গরমের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়ার পূর্বাভাষে বলা হয়েছে,  রাজ্যের মধ্যভাগে কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহ বেশি থাকবে। আবার কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলাতে গুমোট গরমের সঙ্গে ঘামের তীব্র অস্বস্তিতে ভুগবেন মানুষ। রবিবার রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলে কিছুটা বৃষ্টির আভাস মিলেছে। কিন্তু বাকি জেলাগুলিতে এখন বৃষ্টির তেমন পূর্বাভাস নেই, তবে বিক্ষিপ্তভাবে সামান্য বৃষ্টি কয়েকটি অঞ্চলে হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শনিবারের মধ্যে কেরালায় বর্ষা ঢোকার পর ধীরে ধীরে তা এগিয়ে আসবে উত্তরবঙ্গের দিকে। তারপরেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত হবে। তবে তারজন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও ৩-৪ দিন। 
প্রচণ্ড গরম এবং তার সঙ্গে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকায় অস্বস্তি চরমে উঠেছে মানুষের। কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলা হাওড়া, হুগলী, নদীয়া, পূর্ব মেদিনীপুর জেলাগুলিতে ঘেমে নেয়ে নাকাল মানুষ। অন্যদিকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমানে তীব্র তাপপ্রবাহ থাকবে। এই হাঁসফাঁস অবস্থায় হঠাৎ করে কোন কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টির আশায় দিন গুনছেন রাজ্যবাসী। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্প যা কিছু রয়েছে তা থেকে হঠাৎ কোনও ব্যবস্থা তৈরি হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কোথাও কোথাও কিঞ্চিৎ ঝড় বৃষ্টি ঘটাতে পারে। কিন্তু সে সম্ভাবনা খুবই কম। আপাতত বর্ষার দিকে তাকিয়েই দিন গুনতে হবে আমাদের। তবে আশার কথা এই যে, মৌসুমি বায়ু এখন ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে দক্ষিণ ভারতে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, হিমালয় সন্নিহিত অঞ্চলে অর্থাৎ সিকিম, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের কিছু বৃষ্টিপাত হতে পারে রবিবার নাগাদ। এছাড়া উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলি শুষ্ক থাকবে। ওদিকে উত্তরবঙ্গের জেলা হলেও প্রবল তাপপ্রবাহ চলবে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে। দক্ষিণবঙ্গে এখন মোটামুটিভাবে ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে আরব সাগরের ওপর যে ঘূর্ণিঝড় রয়েছে তা আরও শক্তিশালী হয়েছে। এর কারণে মৌসুমি বায়ুর ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৭ দিন পিছিয়ে গিয়েছে বর্ষা। আর এরই প্রভাবে যথেষ্টই মার খেয়ে গিয়েছে মাঠের ফসল, সবজি। ফলে চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের কৃষকরা। কবে বর্ষা এসে স্বস্তি দেয় সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।      
           

 

 

 

 

 

 

 

 

Comments :0

Login to leave a comment