MANIPUR FIRING

অটোমেটিক রাইফেল থেকে গুলি মণিপুরে, পৌঁছালো আসাম রাইফেলস

জাতীয়

হিংসা থামছে না মণিপুরে। মঙ্গলবার রাতেও অবিরাম গুলিবর্ষণ চলেছে মণিপূর থাঙজিঙে। সরকারি আধিকারিকরাই জানিয়েছেন প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা গিয়েছে গুলির আওয়াজ। 

আসাম রাইফেসলের জওয়ানরা এলাকায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিধায়কদের একাংশ প্রবল ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের ওপর। ৩ মে দুই জনগোষ্ঠীর বিরোধের জেরে হিংসা ছড়ানোর শুরু থেকে বীরেন সিং হুমকির ভাষা প্রয়োগ করছেন। এই বিধায়কদের ক্ষোভ, প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে হুমকি হিংসা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বরং এমন বক্তব্য হিংসায় প্ররোচনা জোগাচ্ছে। 

বিজেপি বিধায়কদের একাংশ দিল্লিতে দলের শীর্ষস্তরে বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আপাত বিচারে এই বিরোধ দুই জনগোষ্ঠী মেইতেই এবং কুকিদের। রাজধানী ইম্ফল এবং লাগোয়া এলাকায় বসতি মেইতেইদের। আর পাহাড়ি এলাকায় বসতি কুকিদের। প্রভাবশালী মেইতেইরা আদিবাসী জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানাতে বিরোধ তীব্র হয়। 

কিন্তু পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন এর পিছনে রয়েছে বিজেপি এবং আরএসএস’র দীর্ঘদিনের বিভেদ নীতি। জনগোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিরোধ থেকে ভোটের ফায়দা তুলেছে বিজেপি, বলছেন তাঁরা। সেই বিরোধী তীব্র চেহারা নিয়েছে। কুকিদের ক্ষোভ রাজ্য সরকারের ওপর আরও বেড়েছে তাঁদের বনাঞ্চল থেকে উচ্ছেদ করতে বাধ্য করায়। 

রাজ্যে সম্প্রতি সফর করে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অমিত শাহ। একাধিক বৈঠক করেছেন। তবে তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বেতার ভাষণে মণিপুরের উল্লেখ না থাকায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে। কোথাও কোথাও রেডিও আছড়ে ভেঙে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। 

Comments :0

Login to leave a comment