স্মার্ট মিটারের প্রতিরোধ করতে হবে। এই আহ্বান জানিয়ে বিরোধিতার কারণ গুলি নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় বরানগরের বনহুগলিতে একটি প্রকাশ্য পথ সমাবেশ সংগঠিত করা হয় সিআইটিইউ বরানগর জোনাল কমিটির ডাকে। সভাপতি ছিলেন কিশোর গাঙ্গুলি। বক্তব্য রাখেন, সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক গার্গী চ্যাটার্জি, আব্বাস আলী, শঙ্কর বসু , বিপ্লব নন্দী, সিআইটিইউ বরানগর জোনাল কমিটির আহ্বায়ক বাপী নাগ, বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারী আন্দোলনের নেতা সৌমজিত নাগ রায়।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এবং ভাঙর সহ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে স্মার্ট মিটার বসানো প্রতিরোধের কথা উল্লেখ করে, তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলে স্মার্ট মিটার বসানো প্রতিরোধের উপর জোর দিয়ে, সমাবেশে গার্গী চ্যাটার্জি বলেন, দিল্লি ঘিরে কৃষকদের লাগাতার আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিলো, বিদ্যুৎ আইন সংশোধন বিল প্রত্যাহার করতে হবে। কৃষকদের যুক্তি ও দাবির কাছে লিখিত ভাবে নতি স্বীকার করেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ফের বিদ্যুৎ বেসরকারি করণ করতে নেমেছে। বিদ্যুতের উৎপাদন ও বন্টন , সরবরাহকে বেসরকারি করণের জন্য স্মার্ট মিটার আনছে। তিনি বলেন, কেরালার সরকার যখন স্মার্ট মিটার বসানোর বিরোধিতা করছে তখন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সরকার কেন্দ্রের কাছে নতি স্বীকার করে স্মার্ট মিটার চালুর জন্য নেমে পড়েছে।
সমাবেশের বক্তারা বলেন, স্মার্ট সিটি আর স্মার্ট মিটার সম্পূর্ণ পৃথক বিষয়। পরিচালকের খেয়াল অনুযায়ী বা টাকা ফুরলে নিজে থেকেই কেটে যাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বেসরকারি মালিকের স্মার্ট মিটার বসানোর আর্থিক বোঝা গ্রাহকের। পরিকাঠামো সহ সরকারি বিদ্যুৎ পরিষেবা চলে যাবে কর্পোরেটদের মুনাফা লোটার খপ্পরে। ব্যাপক হারে বেড়ে চলবে বিদ্যুতের দাম। সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে বিদ্যুতের দাম।
Comments :0