RAIN WINTER

বৃষ্টি কমলেই দক্ষিণবঙ্গে পড়বে শীত

রাজ্য

 ভরা শীতের মরশুমে ঠান্ডার পোশাক ছেড়ে বর্ষাতি পড়তে হচ্ছে। রাতভর বৃষ্টির পরেও বৃহস্পতিবারও নামেনি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের তুলনায় তা বেশিই রয়ে গেছে। তবে টানা মাঝারি বৃষ্টিতে কমেছে দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বাড়তি জলকণা পেয়ে ডিসেম্বরের শুরুতে বরফের মুখ দেখল শৈল শহর দার্জিলিঙ। শীত এখনো না পড়লেও এ এক বড় প্রাপ্তি, সেখানে ভ্রমণরত পর্যটকদের কাছে। 
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম তামিলনাড়ু আর পুদুচেরিকে কাঁদিয়ে গতকালই শক্তি হারিয়েছে। সেটি গতকাল সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবারও অবস্থান করছে ওডিশা-অন্ধ্র উপকূলে। আর বিশাল আয়তনের ওই নিম্নচাপের জেরেই ওডিশা সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। নিম্নচাপ শুরু হতেই শীতের হিমেল হাওয়া থমকে গেছে। তার ওপর অকাল বর্ষণ।
মাঘের শেষে বৃষ্টি কৃষকদের কাম্য হলেও ফসল রোপণের অগ্রহায়ণ মাসে যেকোন দীর্ঘমেয়াদী বৃষ্টি খুব ক্ষতি করে। শুক্রবার বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের দুই-একটা জেলা ছাড়া বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। তবু না আঁচালে বিশ্বাস নেই। 
বুধবারের ক্ষণিক বৃষ্টি যেভাবে রাতভর চলেছে, তাতে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলেছে সেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।  কলকাতা, হাওড়া, হুগলী,  উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বর্ষণের পূর্বাভাস ছিলই। সেইসঙ্গে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল উত্তরবঙ্গে কালিম্পঙ, দার্জিলিঙ, মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহারে।
এদিন উত্তরবঙ্গেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। তবে শুক্রবার থেকেই আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তন দেখা মিলবে। তবে রাতের তাপমাত্রায় সেভাবে রকমফের হবে না। শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পাহাড়ে। শুক্রবার বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি থাকছে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায়। এর মধ্যে রয়েছে দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, হাওড়া, পুরুলিয়া ও দুই বর্ধমান।
শনিবার থেকে আবহাওয়ার পুরোদস্তুর পরিবর্তনের পাশাপাশি শীতের আমেজ মিলতে থাকবে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকবে। দিনের সময় পার হতে হতে তা পরিষ্কার হতে থাকবে। এরপরেই লাফিয়ে নামতে শুরু করবে পারদ। তার ছোঁয়াচ শনিবারেই মিলতে পারে।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। সেই মতোই এদিন সকাল থেকে কখনো আস্তে, কখনো জোরে বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। সেই বৃষ্টির জেরে দিনের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি কমে ২৬.৪ ডিগ্রি হলেও উলটো পুরাণ দেখা গেছে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়। সারারাত ঢিমেতালে বৃষ্টি হলেও ৬ ডিগ্রি বেড়ে থাকা কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এদিন মাত্র ২ ডিগ্রি কমেছে। গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এদিনও ৪ ডিগ্রি বেশি কলকাতায়। রবিবার, ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে কলকাতার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এবারে ঠিক কবে পশ্চিমবঙ্গে শীত পড়বে তার সুখকর বার্তা দিতে পারেনি দিল্লির আইএমডি। 
চলতি শীতের মরশুমে হয়ত ফিকে পড়বে ঠান্ডা। পূর্বাভাস বলছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা ও তার পরিমাণও কমবে। এর আগে ২০২২ সালেও উষ্ণতর শীতের পূর্বাভাস দিয়েছিল। গত বছরও স্বাভাবিকের থেকে সামান্য বেশি দেখা গিয়েছিল শীতের তাপমাত্রা।

Comments :0

Login to leave a comment