প্রতীম দে- বারুইপুর
"আমতলা, বীরভূমে যখন হেঁটেছি। মানুষের মতো দেখতে কিছু প্রাণী দরজায় এসে দাড়াচ্ছে। কিন্তু তারা যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। আমরা সবাই মানুষ হতে পারছিনা কারণ আমরা প্রতিবাদ করতে পারছিনা। ওরা মানুষকে মাথা নিচু করে বেঁচে থাকতে বাধ্য করছে। কারা করছে, সেটা তৃণমূল হতে পারে সেটা বিজেপি হতে পারে। গোটা দেশের পুঁজিপতিরা মোদী মমতাকে পুসে রেখেছে। যাতে আপনি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারেন। বারুইপুরের পেয়ারা চাষীরা বাজারে বসবে তৃণমূলকে টাকা দিতে হবে, ট্রেনে হকারি করা যাবে না। তাহলে তারা কোথায় যাবে। জুটমিল, কারখানা ধুঁকছে। গোটা রাজ্যে এক অবস্থা। এর থেকে রেহাই তখন হবে যখন সবাই উঠে দাঁড়াব।" বারুইপুরের সভা থেকে বললেন মীনাক্ষী মুখার্জি।
তিনি বলেন, "আজকে ইনসাফ যাত্রার শেষ দিন। ৫০ তম দিন। কিন্তু এই লড়াইয়ের শেষ নেই। বামপন্থীদের লড়াই শেষ হয়না। মমতা বলেছিল ১০০ দিন সব কাজ শেষ করবে। বলেছিল মশা আর মাছি মারা ছাড়া কোন কাজ বাকি নেই। কিন্তু রাজ্যের গরিব মানুষকে পিষে মেরেছে এরা।"
রাজ্যে তৃণমূল সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রের বা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিরোধী মত প্রকাশ করলে তার ওপরে আক্রমণ নেমে এসেছে। সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে মীনাক্ষী মুখার্জির বক্তব্যে। যুব নেত্রী বলেন, "সরকারের কোন কাজ নিয়ে কেউ কিছু লিখলে তাকে জেলে ভরে দেওয়া হয়। রাজ্যে সরকারের বিরোধীতা করলে পুলিশ গাঁজা কেস, পানি কেস দেয়। লুঠ করা হচ্ছে আমাদের গায়ে গতরে খাটার শক্তি। আমরা খেতে টাকা উপার্জন করে কর দি। এরা আমাদের ভাবনা চিন্তাকে লুঠ করছে।"
কাজ চাই চাকরি চাই এই দাবিতে রাজ্যজুড়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ডিওয়াইএফআই। আগামি ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে ইনসাফ সমাবেশ, সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক বলেন, "ছোট বেলায় দেখেছি, বড়ো কয়লায় আঁচ দিলে তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যেত। ছোট কয়লার আঁচ অনেকক্ষণ থাকতো। যুবরা সেই কাজ করেছে। আমাদের সেই আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হবে।"
এদিন বারুইপুর রেল ময়দানের থেকে শুরু হয়েছে ইনসাফ যাত্রা। জেলার বিভিন্ন গণসঙ্গঠনের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় যুব নেতৃত্বকে। প্রবীণ নেতা হেমেন মজুমদার সম্বর্ধিত করেন মীনাক্ষী মুখার্জিকে।
বারুইপুরে রাস্তা ধরে মিছিল যত এগিয়েছে তত মিছিল কে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বিস্ফোরণ ঘটেছে বাড়ি থেকে বাজার করতে এসে সাধারণ মানুষ রাস্তায় ভিড় জমিয়েছে। সবার হাতে মুঠোফোন ইনসাফ যাত্রাকে নিজেদের ফোনে ধরে রাখতে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ।
Comments :0